আল্লাহ মোহাম্মদ ঘাজনফার, কে এই রহস্য বোলার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম

আল্লাহ মোহাম্মদ ঘাজনফার
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে ৯২ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। শারজাহতে অল্প পুঁজি নিয়েও বোলারদের নৈপুণ্যে বড় জয় পেয়েছে আফগানরা। যেখানে সবচেয়ে বড় অবদান আল্লাহ মোহাম্মদ ঘাজনফারের।
শারজাহতে লাল-সবুজের ৬ ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ঘাজনফার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওপেনার তানজিদকে ফেরানোর পর শেষ ৭ উইকেটের পাঁচটিই নেন তিনি।
গেল মার্চেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ঘাজনফারের। এই ম্যাচের আগে আফগানদের জার্সিতে মাত্র ৪টি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল তার। সব মিলিয়ে তার ঝুলিতে ৫ উইকেট ছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসেই নেন ৬ উইকেট। এর মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার নেন ঘাজনফার।
ম্যাচ শেষে ঘাজনফার বলেন, ‘প্রথম স্পেলে যখন বোলিং করতে আসি, ছন্দ ভালোই ছিল। একটি উইকেট পাই। কিন্তু ওই উইকেট পাওয়ার পর ভালো বোলিং করতে পারিনি। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে শক্তিশালী হয়ে ফেরার কথা চিন্তা করেছি এবং আমি তা পেরেছি। চেষ্টা করেছি, দলের জয় আনতে পেরেছি। দলের হয়ে ৫-৬ উইকেট নেওয়া যেকোনো বোলারের স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন ছিল, যেটা আজ পূরণ হয়েছে।’
লাল-সবুজের বিপক্ষে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবির থেকেও সাহায্য পেয়েছেন ঘাজনফার। এ প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, ‘রশিদ ও নবির ভূমিকা আমার বোলিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা সব সময় আমাকে কার্যকর পরামর্শ দেন, যা ম্যাচে ভালো ফল এনে দেয়।’
বাংলাদেশ প্রথমবার আফগান এই স্পিনারকে দেখলেও ক্রিকেট-বিশ্ব আগেই তার প্রতিভা দেখেছে। আইপিএলের গেল মৌসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সে ছিলেন। সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও নজর কাড়েন তিনি। ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার করেন। যুব বিশ্বকাপের মাসখানেক পরই আফগানদের জার্সিতে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তার।
ছেলেবেলায় টেনিস বলে খেলতেন ঘাজনফার। এরপর একটি একাডেমিতে নাম লেখান তিনি। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার কারণে শুরুতে পেসার ছিলেন। পরে স্পিনে তার প্রতিভা দেখে তাকে স্পিনার হতে বলেছিলেন কোচরা। সাবেক আফগান অধিনায়ক দাওলাত আহমাদজাই নিবিড় যত্নে তাকে গড়ে তোলেন।