সাকিবের সঙ্গে নিজের তুলনায় নারাজ মিরাজ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২১ পিএম

সাকিব আল হাসান-মেহেদী হাসান মিরাজ
সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিকল্প কে? উত্তরে টাইগার ক্রীড়াপ্রেমীদের অধিকাংশই বলবেন, মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে সাকিবের ক্যারিয়ারের ইতি ঘটার আগেই অলরাউন্ডার হিসেবে মিরাজের উত্থান। সময়ের পরিক্রমায় নিজেকে আরো শাণিত করেছেন তিনি। ব্যাট হাতে প্রতিনিয়ত সাকিবের মতই অবদান রাখছেন। তবে সাকিবের সঙ্গে তুলনায় নারাজ মিরাজ।
এর পেছনে যুক্তিও আছে মিরাজের। মূলত সাকিবকে সাকিবের জায়গায় রেখে তাকে মূল্যায়নের অনুরোধ মিরপুর টেস্টের এই ‘ক্রাইসিস ম্যান’র।
সংবাদ সম্মেলনে ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বলেন, সবাই সবসময় একটা কথা বলেন সাকিবের (ভাই) জায়গায় আমি আসব। একটা জিনিস দেখেন, সাকিব (ভাই) অনেক বড় অর্জন করেছেন, ১৭ বছর খেলেছেন, একজন লিজেন্ড প্লেয়ার। আমি মাত্র রান করা শুরু করেছি ১-২ বছর। সাকিব (ভাই) শুরু থেকেই রান করেছে।
মূলত একজন খেলোয়াড়কে অন্যজনের সঙ্গে তুলনা অপছন্দ মিরাজের। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দলের অবদান রাখার প্রত্যাশা তার।
মিরাজের মতে, উনি উনার জায়গায়, আমি আমার জায়গায়। একজন খেলোয়াড়কে আরেকজনের সাথে তুলনা না করলেই ভালো। আমি ৭-৮ নম্বরে ব্যাট করি। সাকিব ভাই টপ অর্ডারে ব্যাট করেছে। আমার সময় আসলে চেষ্টা করব দলের প্রয়োজনে ভালো ক্রিকেট খেলার।
এদিকে এই টেস্ট দিয়েই রাজকীয় এই ফরম্যাটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে পরিস্থিতি পক্ষে না থাকায় স্কোয়াডে থেকেও শেষমেশ দেশে ফিরে খেলা হয়নি সাবেক টাইগার দলপতির। তবে সাকিবের পাশে থাকার আহ্বান মিরাজের।
এ বিষয়ে মিরাজ বলেন, সাকিবের (ভাই) ইস্যু তো সবাই জানি। সে কীসের জন্য আসেনি বা খেলতে পারেনি কারও অজানা না। সে একজন কিংবদন্তি। বাংলাদেশের জন্য অনেক অর্জন আছে, অস্বীকার করতে পারব না কেউ। সবাই তার পাশে থাকা উচিত।
প্রথম ইনিংসেই মিরপুর টেস্টের ফল নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশকে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের লিড নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। হোম অব ক্রিকেটে ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে লড়াই করা বেশ কঠিন। কিন্তু মিরাজের দুর্দান্ত ইনিংসে সেই লড়াই-ও জমিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের লিড টপকে ভালো কিছুর আভাস দিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে স্বাগতিক দল।
তবে চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। মিরাজের সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানের লক্ষ্য দেয় টাইগাররা। জবাবে মোটেই বেগ পেতে হয়নি সফরকারীদের। প্রথম সেশন শেষ হবার আগেই লক্ষ্য টপকে যায় প্রোটিয়ারা। এর মধ্য দিয়ে ১০ বছর পর উপমহাদেশে টেস্ট জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।