ফলোঅনের শঙ্কা নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ পিএম

ছবি- সংগৃহীত
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ২৭৪ রানের জবাবে দলীয় ৩০ রান পেরোনোর আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলাদেশের ৬ ব্যাটার। শঙ্কা ছিল নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার। তবে লিটন ও মেহেদীর কল্যাণে সেই লজ্জায় এড়ায় বাংলাদেশ। লজ্জা এড়ালেও টাইগারদের সামনে এখন ফলো-অন এড়ানোর লক্ষ্য। ফলোঅন এড়াতে ১২৫ রান দরকার বাংলাদেশের। তাদের লড়াকু ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান নিয়ে লাঞ্চ-বিরতিতে গিয়েছে টাইগাররা। সফরকারীদের সামনে আপাতত ল্যান্ডমার্ক আরও ৫০ রান।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) আগের দিনের ১০ রানের সঙ্গে কেবল ৪ রান যোগ করতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান। এর আগে একবার জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
এরপর তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কথা ছিল আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামের। তবে খুররম শাহজাদের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ক্লিনড বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলানোর আগেই টাইগার অধিনায়ক শান্তও বোল্ড। টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারকেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন শেহজাদ।
এরপর চারে নামা মুমিনুল কিছু বুঝে ওঠার আগেই মির হামজার বলে মোহাম্মদ আলির হাতে ক্যাচ তোলে দেন। তার ফুল-লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন সাবেক এই টেস্ট অধিনায়ক। মাত্র ১ রানে ফেরেন তিনি। এতে ১৪ থেকে ২০ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে লাল-সবুজেরা।
আগের ম্যাচে ১৯১ রানের সুবাদে ম্যাচসেরা মুশফিক দলীয় বিপর্যয়ের দিনে ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেননি। মির হামজার করা ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটকিপার রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন মুশি।
লাল-সবুজের ইনিংসে সর্বশেষ আউট হন সাকিব। সাকিবকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন খুররাম। ১০ বলে ২ রান করে সাকিব আউট ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর জুটি বাঁধেন লিটন এবং মিরাজ। ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে শুরুর বিপদ সামলে নেন এই জুটি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত আর কোনো বিপদ হতে দেননি তারা। শেষমেশ ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ। এখনও ১৯৯ রানে এগিয়ে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের হয়ে ৬ উইকেটের ৪টিই নেন শেহজাদ। বাকি দুটি উইকেট হামজার।