হাজারি ক্লাবে ঢুকতে চান রোনালদো

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
ইতোমধ্যেই ক্যারিয়ারে ৮৯৯ গোলের পুঁজি গড়েছেন আল নাসরের হয়ে খেলা পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আগামী ম্যাচেই হয়তো ৯০০ গোল পূর্ণ করবেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। ক্লাব ফুটবলে এ পর্যন্ত ৭৬৯ গোল করেছেন রোনালদো। এদিকে জাতীয় দলের জার্সিতে রোনালদো গোল করেছেন ১৩০টি। ক্যারিয়ারে ১২৩৫ ম্যাচে ৮৯৯ গোল করেছেন সি আর সেভেন। অ্যাসিস্ট করেছেন ১৫৪টিতে। এবার অবসরের আগে নিজের মাইলফলকের কথা জানিয়েছেন ৩৯ বছর বয়সি এই তারকা ফুটবলার। জানিয়েছেন আপাতত লক্ষ্য হাজার গোলের মাইলফলক অর্জন।
জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবলে প্রায় সবকিছু জিতে নেয়া রোনালদোর সামনে এখন ওই একটাই লক্ষ্য হাজার গোলের মাইলফলক। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিজের সাবেক সতীর্থ ও বন্ধু রিও ফার্ডিনান্ডকে এ কথাই বলেছেন আল নাসরের এ তারকা। রোনালদো মুখ ফুটে এ কথা না বললেও হতো। ব্যাপারটা আগেই আন্দাজ করে নিয়েছেন অনেকেই। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে রোনালদোর ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ৮৯৯। চাই আরো ১০১ গোল। এটাই রোনালদোর কাছে আপাতত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য আল নাসর ফরোয়ার্ডের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফার্ডিনান্ড। সেখানে রোনালদো ধারণা করেছেন, ৪১ বছর বয়সের মধ্যে হাজার গোলের মাইলফলকের দেখা পেতে পারেন। তিনি জানান, ‘আমি ১০০০ গোল করতে চাই। চোটে না পড়লে এটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটা চাই। ফুটবলে তাড়া করার জন্য এটাই আমার কাছে সেরা মাইলফলক। প্রথমে ৯০০ গোল, তারপর আমার চ্যালেঞ্জ হলো ১০০০ গোল করা’।
ফার্ডিনান্ডের সঙ্গে খোলামনে কথা বলেছেন রোনালদো। ফুটবলে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় পেলে, আলফ্রেড ডি স্টেফানোদের মতো যেসব কিংবদন্তির নাম ওঠে আসে, তাদের সঙ্গে নিজের গোলসংখ্যার পার্থক্য নিয়েও কথা বলেছেন রোনালদো। পেলে-ডি স্টেফানোদের সময়ে ক্যামেরার বিস্তৃত ব্যবহার ছিল না, এ ব্যাপারে পার্থক্য টেনে রোনালদো বলেছেন, ‘আমি যত গোল করেছি সেগুলোর ভিডিও আছে। আমি তাদের সবাইকেই সম্মান করি। তবে যদি তুমি (ফার্ডিনান্ড) আরো গোল চাও, অনুশীলনেরগুলো যোগ করতে পার। তারপর হয়তো লোকের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। তারা এই খেলোয়াড়কে পছন্দ করে নাকি ওই খেলোয়াড়ই সেরা। এটা নিয়ে আমি ভাবি না’।
সৌদি প্রো লিগ নিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘কোনো দেশই নিখুঁত নয়। আমার জন্য মানিয়ে নেয়াটা সহজ ছিল এবং আমি সত্যিই সেখানে থাকতে ভালোবাসি। আমার মনে হয় লিগ খুব খুব ভালো’। ২০২৪ ইউরোর শেষ ষোলোয় সেøাভেনিয়াকে টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল পর্তুগাল। সে ম্যাচে টাইব্রেকারে লক্ষ্যভেদ করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রোনালদো। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে রোনালদো বলেছেন, তিনি যেহেতু ‘বিশ্বের সবচেয়ে অনুসারিত মানুষ’ তাই লোকে এর সমালোচনা করেছে।
কিন্তু রোনালদোর কাছে ওই অশ্রæর ব্যাখ্যা অন্যরকম। সেই ১১ বছর বয়স থেকে নিজের ওপর প্রত্যাশার যে চাপ তিনি তৈরি করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতেই কেঁদেছিলেন বলে জানিয়েছেন রোনালদো। তিনি জানান, ‘নিজের কাজের প্রতি প্যাশন থাকলে কেমন অনুভব করছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম। কারণ সেই ১১ বছর বয়স থেকে নিজের ওপর চাপ তৈরি করে আসছি। কিন্তু পেনাল্টি মিস করার পর নিজের, পরিবার ও সমর্থকদের কথা ভেবে খারাপ লাগছিল। অন্য কিছুর জন্য নয়’।