বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেলেন হামজা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটির হয়ে খেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। গত জুনে বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন হামজা। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে তার পাসপোর্ট এসে গিয়েছিল মাসখানেক আগেই। কিন্তু লেস্টার সিটির হয়ে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকার কারণে বাংলাদেশি পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারছিলেন না হামজা। অবশেষে গত শুক্রবার হামজার পক্ষে পাসপোর্টটি গ্রহণ করেছেন তার মা রাফিয়া চৌধুরী।
গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন হামজা চৌধুরীর বাবা মোরশেদ দেওয়ান। তিনি বলেছেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গিয়ে হামজার পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন তার মা রাফিয়া চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়ে গেছে, হামজা ওর ক্লাব লেস্টার সিটিতে এখন ব্যস্ত। তাই সে যেতে পারেনি।’
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন- এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও হামজাকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হামজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট করানো। এখন ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) অনুমতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর লাগবে তার ক্লাব লেস্টার সিটির অনুমতি।
হামজাকে সেপ্টেম্বর উইন্ডোতেই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলানো যায় কিনা, সে চেষ্টা চালিয়েছে বাফুফে। কয়েক দিন আগে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন জানিয়েছিলেন, সময়ের স্বল্পতার কারণে সেপ্টেম্বরে হামজাকে খেলানো সম্ভব না হলেও নভেম্বর উইন্ডোতে বাংলাদেশের হয়ে তার খেলার সম্ভাবনা প্রবল। ২০১১-১২ মৌসুমে ইংরেজ ফুটবল ক্লাব লেস্টার সিটি সংরক্ষিত এবং একাডেমির হয়ে খেলার মাধ্যমে হামজা ফুটবল জগতে নাম লেখান এবং এই ক্লাবের হয়ে খেলার মাধ্যমেই ফুটবল খেলায় ক্যারিয়ার গড়েন।
২০১৫-১৬ মৌসুমে লেস্টার সিটির মূল দলে অন্তর্ভুক্ত হলেও একটিও ম্যাচ না খেলে একই মৌসুমে ধারে বার্টিন আলবিয়নে যোগদান করেন। যেখানে তিনি তার সিনিয়র পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবনের প্রথম ম্যাচ খেলেন। বার্টিন আলবিয়নে ২ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন হামজা। যেখানে তিনি ২৬ ম্যাচ খেলেছিলেন।
২০১৭-১৮ মৌসুমে তিনি বার্টিন আলবিয়নের হয়ে ধারে খেলা শেষ করে পুনরায় লেস্টার সিটিতে যোগদান করেছেন। ২০২২-২৩ মৌসুমে তিনি ধারে লেস্টার সিটি হতে ইংরেজ ক্লাব ওয়াটফোর্ডে যোগদান করেছেন। হামজা এখন পর্যন্ত ক্লাব পর্যায়ে মোট ম্যাচ খেলেছেন ১১৬টি। তবে গোল এসেছে সামান্যই। পুরো লিগ ক্যারিয়ারে মাত্র ২টি গোল করেছেন তিনি।