গুনকের ‘শতাব্দী সেরা’ সেভে মুগ্ধ বিশ্ব

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৮ এএম

ছবি : সংগৃহীত
১৯৭০ বিশ্বকাপে পেলের নিশ্চিত গোল আটকে দিয়েছিলেন ব্যাঙ্কস। সেটাকেই শতাব্দীর সেরা ‘সেভ’ বলা হয়। এরপর কেউ কখনোই কল্পনা করেননি, ব্যাঙ্কসের সেই অমর সেভকে হটিয়ে নিজের নামের পাশে শতাব্দীর সেরা ‘সেভ’ ট্যাগ বাগিয়ে নেওয়ার। তবে মঙ্গলবার রাতে ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় একটি গোল বাঁচিয়ে দেন তুরস্কের গোলরক্ষক মার্ট গুনক। এই সেভকেই ব্যাঙ্কসের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
অস্ট্রিয়ার ক্রিস্টফ বমগার্টনারের জোরাল এক হেড মাটিতে ড্রপ খেয়ে দ্রুত গতিতে গোলবারের দিকে যাচ্ছিল। আর বৃষ্টির কারণে লাইপজিগের মাঠও পিচ্ছিল ছিল। বলটি পিছলে গিয়ে আরও তীব্র গতিতে লক্ষ্যের দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে তুরস্কের গোলরক্ষকের হাতেও বেশিক্ষণ সময় ছিল না। এর মধ্যেই অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় গোলবারের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে অর্থাৎ ডানদিকে শরীর ছুঁড়ে দিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন গুনক।
এ সময়ে মাঠে থাকা দু’দলের ফুটবলার ও সমর্থকরা যেন নিজেদের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন অস্ট্রিয়ার ফুটবলাররা। অন্যদিকে ম্যাচ জয়ের নায়কের দিকে ছুটে যান তুরস্কের ফুটবলাররা। গুনককে নিয়ে সবাই উল্লাসে মাতেন। এ সময়ে ধারাভাষ্যকারেরা অবাক হয়ে বলতে থাকেন, ‘অবিশ্বাস্য! এটা কি ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা সেভ?’
ম্যাচ শেষে ব্যাঙ্কসের সঙ্গে গুনকের তুলনার বিষয়টি উস্কে দেন অস্ট্রিয়ার কোচ রালফ র্যাগনিক। তার দাবি, ‘জিতব কীভাবে, যদি প্রতিপক্ষ দলে গর্ডন ব্যাঙ্কস গোলের নিচে এসে দাঁড়ায়!’
র্যাগনিকের ভাষ্যমতে, ‘গোলটা পেয়ে গেলে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে যেত। আমরাও হয়তো জিততে পারতাম। গর্ডন ব্যাঙ্কসের সেই গোল বাঁচানোর অ্যাকশন রিপ্লে যেন দেখলাম আমরা।’
২-১ গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও শেষদিকে বেশ চাপে পড়েছিল তুরস্ক। অন্যদিকে গোল শোধে মরিয়া অস্ট্রিয়া ইনজুরি টাইমে অর্থাৎ ম্যাচের ৯৪তম মিনিটে ওই আক্রমণ চালায়, যা নিপুণ দক্ষতায় রুখে দেন গুনক। শেষ মুহূর্তের ওই সেভই তুরস্ককে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে দেয়।
এ নিয়ে তুরস্কের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মেরিহ দেমিরালের মন্তব্য, ‘নিজেদের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। অলৌকিক একটা সেভ। আমি পরে গুনককে জিজ্ঞেস করি, কীভাবে নিশ্চিত গোলটা তুমি বাঁচালে? আমি ওর জন্য খুব খুশি।’
উল্লেখ্য, সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে আগামী শনিবার (৬ জুলাই) রাত ১টায় নেদারল্যান্ডসের মোকাবিলা করবে তুরস্ক।