অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে
নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম

ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তামিমা সুলতানা তাম্মি। ছবি : সংগৃহীত
ডিভোর্স না হওয়ায় অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমানসহ দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। এদিন প্রথমে রাকিব-তামিমার ভাড়া বাসার মালিক মো. জিয়াউল আজিজ সাক্ষ্য দেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মো. মিজানুর রহমান জবানবন্দি দেন।
এসময় নাসিরের পক্ষে তার আইনজীবী মিজানুর রহমানকে জেরা শেষ করেন। আদালত আগামী ১০ জুলাই তামিমার পক্ষে জেরার জন্য দিন ধার্য করেন। এ পর্যন্ত এই মামলায় নয় জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
আরো পড়ুন : সেমিফাইনালের স্বপ্নে ভোরে আফগান পরীক্ষা টাইগারদের
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় কেবিন ক্রু। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। এরপর ডিভোর্স পেপার ছাড়াই বিয়ে করার অভিযোগে নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন রাকিব।
মামলার অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় নাসিরকে বিয়ে করেন তামিমা, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নাসির নিজের কাছে নিয়ে গেছেন। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরম মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
এরপর ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা এবং তামিমার মা সুমি আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।