বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সিকান্দার রাজার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১০:৩৭ এএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের প্রতি অন্যরকম আবেগ কাজ করে সিকান্দার রাজার। জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশ সফরের শুরুতেই তা স্পষ্ট ছিল। এবার বাংলাদেশ সফরে রাজা এসেছিলেন তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তা আর তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা তার পরিবারের সদস্যরাও দেখুন- এই চাওয়া থেকে। সিরিজ জিততে না পারলেও বাংলাদেশ থেকে দু’হাত ভরে ভালোবাসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন রাজা।
আর ফেরার পর দীর্ঘ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। সেই সাথে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশ ভালো করে সেই শুভকামনাও জানিয়েছেন। ১২ দলের গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কঠিন পরীক্ষা নেওয়া জিম্বাবুয়ে এবারের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের বিশ্বকাপে জায়গা করতে পারেনি, যেখানে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল।
রাজা তার পোস্টে লিখেছেন- ‘আমাদের আতিথেয়তা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ। বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশকে শুভকামনা জানাই। আমার দল, আমার পরিবার ও আমাকে ভালোবাসা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’
বাংলায় ‘আমি তোমাদের ভালোবাসি’ লিখে রাজা আরো বলেছেন- ‘ইনশাআল্লাহ আবার দেখা হবে। হ্যাশট্যাগ দিয়ে তার আমন্ত্রণ- ‘জিম্বাবুয়ে এসো।’
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন রাজা। তিনি বলেন- ‘আমি বাংলাদেশে প্রায়ই আসি। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে। যদি শেষবারের মতোও এসে থাকি, আমি চাই আমার স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে তারা বাংলাদেশের ভালোবাসা, আতিথেয়তার অভিজ্ঞতা পাক।’
সেই উদ্দেশ্যে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাংলাদেশে আসেন, সন্তানকে নিয়ে বাংলাদেশের মাঠে অনুশীলনও করেন। রাজা আরো বলেছিলেন- ‘আমার প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ছিল বাংলাদেশে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। দ্বিতীয়টাও বাংলাদেশে, বিপিএলে। আমার অভিষেকও হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের খুব ভালো বন্ধু। নিয়মিত আমাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলি বা বাংলাদেশের ঘরোয়া দলের হয়ে, আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ। আমি তিনবার বিপিএল খেলেছি, তিনবার ডিপিএল খেলেছি।’
সিকান্দার রাজার বয়স এখন ৩৮ বছর। হয়ত হুট করে কোনো একদিন নিয়ে নেবেন অবসর। বাংলাদেশে আর যদি খেলোয়াড় হিসেবে আসা না-ও হয়, তবুও ভালোবাসা কমবে না এতটুকু। রাজা বলেছিলেন- ‘জানি না আবারো বাংলাদেশে আসব কি না। যদি অবসরও নিয়ে ফেলি, আমি চাইব আমার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, আতিথেয়তার অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। বাংলাদেশ আমাকে অনেক ভালোবাসে।’