ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আরেকটি ট্রফি থেকে মাত্র এক পা দূরে রিয়াল মাদ্রিদ। ১ জুন ওয়েম্বলিতে ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারাতে পারলেই রিয়ালের সংগ্রহে যুক্ত হবে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের ১৫তম শিরোপা।

অনেকে ইতোমধ্য রিয়ালকে এগিয়েও রাখছেন। রিয়াল শিবিরে আত্মবিশ্বাস আছে, তাদের হাতেই উঠবে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। বায়ার্ন মিউনিখকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেই তো দলটির ইংলিশ মিডফিল্ডার জুব বেলিংহাম ঘোষণা দিলেন, ওয়েম্বলিতে ১৫তম হবে!

নিজেদেরকে ফেবারিট ভাবছেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তিও। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বায়ার্নের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে বাঁ পায়ের চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন অরেলিয়াঁ চুয়ামেনি। আনচেলত্তির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও ফরাসি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফাইনালে খেলতে পারবেন বলেই আশাবাদী।

অরেলিয়াঁর চোট গুরুতর না হলেও সমস্যা এখনো কিছুটা আছে। গতকাল মাদ্রিদে দলের লা লিগা শিরোপা উদ্‌যাপন করার সময় স্পেনের সংবাদমাধ্যমে বলেন ‘আমার বিশ্বাস, আমি ফাইনালে খেলতে পারব। আমি প্রস্তুত থাকব।’

চলতি মৌসুমে রিয়ালের মাঝমাঠে চুয়ামেনি ছিলেন দুর্দান্ত। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনি ৩৮ ম্যাচ খেলে ৩টি গোল করেছেন। কিন্তু চুয়ামেনিকে তো আর গোল করা দিয়ে বিচার করা যায় না! লা লিগা থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ মাঝমাঠে রিয়ালের যে আধিপত্য, তাতে চুয়ামেনির অবদান বিশেষভাবেই লক্ষণীয়। একাধারে তিনি দলের আক্রমণ এবং রক্ষণ, দুটোতেই অবদান রেখে চলেছেন।

স্পেনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মোনাকো থেকে ২০২২ সালে রিয়ালে নাম লেখানো চুয়ামেনির ওয়েম্বলির ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা ২০ শতাংশ। শেষ পর্যন্ত শঙ্কা কাটিয়ে তিনি ফাইনালে খেলতে পারলে রিয়ালের জন্য বড় সুসংবাদই হবে। আর যদি চুয়ামেনি ফাইনালে খেলতে না পারেন, তাহলে রিয়ালের জন্য সেটা বড় ক্ষতির কারণও হতে পারে।