যে কারণে লঙ্কা যাচ্ছেন ডমিঙ্গো

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:২৯ এএম

আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে এখন হয়তো জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা কয়েকদিন বিশ্রামেই থাকবেন। অথবা যার যার মতো অনুশীলন চালিয়ে যাবেন।
অফিসিয়াল কোনো অনুশীলনের বাধ্যবাধকতা নেই। যেটি প্রায় সব সিরিজের শেষেই হয়। তবে খেলোয়াড়রা বিশ্রাম নিলেও বাংলাদেশের নতুন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এখনই বিশ্রাম নিচ্ছেন না। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষেই গতকাল শ্রীলঙ্কায় উড়াল দিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে গেছেন বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট।
সেখানে নতুন দুই কোচ যোগ দেবেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে। লঙ্কান ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুুটি চারদিনের ম্যাচ ও তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ ‘এ’ দল এখন দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে অবস্থান করছে। মূলত তাদের ‘এ’ দলের শিষ্যরা কেমন পারফরমেন্স করছে তা পরখ করতেই সেখানে গেছেন ডমিঙ্গো ও ল্যাঙ্গাভেল্ট। অক্টোবরের ৮ তারিখ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন তারা।
আগামী নভেম্বরে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে খেলবে টাইগার বাহিনী। ভারতের মাটিতে খুব বেশি একটা খেলার সুযোগ পায় না বাংলাদেশ। তাই তাদের বিপক্ষে খেলার জন্য একটু ভালো করেই প্রস্তুতি নিতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে পূর্ণশক্তির ও সবচেয়ে পারফেক্ট দল নিয়ে যাওয়ায় প্রধান লক্ষ্য তাদের। সেরা দল গড়তে হলে শক্ত পাইপ লাইন দরকার। আর জাতীয় দলের অন্যতম পাইপ লাইন ‘এ’ দল। তাই একদম কাছে থেকে দল গোছানোর কাজ করতে লঙ্কায় যাওয়া এই দুই কোচের। তা ছাড়া আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের আসর। সেটিকেও নিশ্চয় মাথায় রাখছেন ডমিঙ্গো। লঙ্কায় সফররত ‘এ’ দলে রয়েছেন সৌম্য, মুমিনুল ও মিরাজের মতো বেশ কয়েকজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়। তা ছাড়া জাতীয় দলে না খেলা তরুণ খেলোয়াড়ও রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে সেরা পারফরমেন্স করা খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে সুযোগ দেয়া হবে।
এদিকে গত আগস্টে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। আগে থেকেই ক্রিকেট কোচিংয়ে অভিজ্ঞতা থাকায় তাকেই বেঁছে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যাত্রা শুরু হয় তার। তবে নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই হতাশ হন তিনি।
আফগানদের বিপক্ষে তার শিষ্যরা হেরে যায় বিশাল ব্যবধানে। কিন্তু ত্রিদেশীয় সিরিজে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে সাকিব-মুশফিকরা তাদের খেলা চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয় তুলে নেয়। যেখানে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের সমান চারটি ম্যাচ খেলে যথাক্রমে দুটি ও একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে। তাই বাংলাদেশের নতুন কোচকে এখন পর্যন্ত সফলই বলা যায়।