বিশ্বচ্যম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, লাতিন সৌন্দর্যে ম্লান ইউরোপীয় গর্জন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫৫ পিএম

ছবি: এএফপি




Lionel Messi right winger of Argentina and Paris Saint-Germain competes for the ball with Dayot Upamecano centre-back of France and Bayern Munich during The FIFA World Cup Qatar 2022 Final match between Argentina and France at Lusail Stadium on December 18, 2022 in Lusail City, Qatar. (Photo by Jose Breton/Pics Action/NurPhoto via Getty Images)

France's Kylian Mbappe scores his side's first goal from the penalty spot past Argentina's goalkeeper Emiliano Martinez during the World Cup final soccer match between Argentina and France at the Lusail Stadium in Lusail, Qatar, Sunday, Dec. 18, 2022. (AP Photo/Natacha Pisarenko)

LUSAIL CITY, QATAR - DECEMBER 18: Lionel Messi of Argentina kisses the FIFA World Cup Trophy while holding the adidas Golden Boot award after the FIFA World Cup Qatar 2022 Final match between Argentina and France at Lusail Stadium on December 18, 2022 in Lusail City, Qatar. (Photo by Julian Finney/Getty Images)







LUSAIL CITY, QATAR - DECEMBER 18: Ángel Di Maria of Argentina celebrates after scoring to make it 2-0 during the FIFA World Cup Qatar 2022 Final match between Argentina and France at Lusail Stadium on December 18, 2022 in Lusail City, Qatar. (Photo by Ian MacNicol/Getty Images)

LUSAIL CITY, QATAR - DECEMBER 18: Lionel Messi of Argentina lifts the FIFA World Cup Qatar 2022 Winner's Trophy after the FIFA World Cup Qatar 2022 Final match between Argentina and France at Lusail Stadium on December 18, 2022 in Lusail City, Qatar. (Photo by Shaun Botterill - FIFA/FIFA via Getty Images)


শিরোপা ছুঁলো মেসির অমর হাত
বিশ্বকাপ ফুটবলের মহারণে মেসি ম্যাজিকের সঙ্গে ভালোই পাল্লা দিলো এমবাপ্পে জাদু। অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে মেসির গোলে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ফের এমবাপ্পের গোলে সমতায় ফিরে ফ্রান্স। অতিরিক্ত ১০৮ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিওনেল মেসি। এরপর অতিরিক্ত ১১৮ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পেও গোল করেন। ৩-৩ গোলো সমতায় শেষ হয় অতিরিক্ত সময়। টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা।


মহারণে শেষ সময়ে এমবাপ্পে জাদুতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ফ্রান্স -আর্জেন্টিনার শিরোপা লড়াই।

৮০ মিনিটের মাথায় একটি গোল পরিশোধ করে ফ্রান্স। পরবর্তী ৮১ মিনিটের মাথায় ফের এমবাপ্পের গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচে এক মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে পিছিয়ে থাকা ফ্রান্সকে সমতায় ফিরিয়ে এমবাপ্পে হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি।

যদিও খেলার শুরুর ২২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সুপারস্টার লিওনেল মেসি এগিয়ে দেন দলকে। তারপর মেসির চমৎকার এক পাসে ৩৫ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়া গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। তার এই গোলেই যেন বিশ্বকাপ জয়ের বার্তা বিশ্বকে জানিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা।
[caption id="attachment_391912" align="aligncenter" width="2048"]
কিন্তু খেলা ৮০ মিনিটে গড়াতেই ফ্রান্স ঘুরে দাঁড়ায়। আর্জেন্টিার বিশ্বকাপ স্বপ্ন যেন গুড়িয়ে দেয় এমবাপ্পের দল। এবার সমতায় থেকে দুই দলই মরিয়া জয় ছিনিয়ে নিতে। কিন্তু বিধিবাম। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচের ১০৮ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মেসি। কিন্তু ১১৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচের শেষ চমক দেখায় তারকা ফুটবলার এমবাপ্পে। ম্যাচ ৩-৩ গোলে টাই। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ও অতিরিক্ত সময়ে মহারণের এই ফাইনালে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তারকা ফুটবলার মেসি ও এমবাপ্পের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচটি। তবে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার থেকে জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে জাদুকরী ফুটবলার মেসির আর্জেন্টিনা।

কাতারের রাজধানী দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে উত্তাপ ছড়ানো ধ্রুপদী এই ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে। ভাগ্য দুলতে থাকলেও জয় হয়েছে আলবিসেলেস্তাদের।
২০১৪ সালের পর আরেকবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে আর্জেন্টিনা। এবারও সুপারস্টার লিওনেল মেসির জাদুকরী পারফরমেন্সে ভর করে চূড়ান্ত লড়াইয়ের টিকিট কেটেছিল আলবিসেলেস্তারা।

আট বছর আগের ফাইনালে জার্মানির কাছে অতিরিক্ত সময়ে ১-০ গোলে হেরে বেদনায় পুড়তে হয়েছিল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার দেশকে। সেই দুঃখ কাটিয়ে মেসির হাত ধরে শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হলো ম্যারাডোনার উত্তরসূরিরা।
বলা যায়, ফাইনালের মহারণে ফরাসি তারকা ফুটবলার এমবাপ্পের গতিকে ভালোই রুখেছে আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগ। গ্রিজম্যানের মাঝমাঠের দক্ষতা সামলানো কাজে আসেনি আজ। মাঝ মাঠ কখনো গ্রিজম্যান আবার কখনো ডি’মারিয়াদের দখলেই ছিল। বিশ্বকাপ যেন বিশ্ব কাঁপানো একটি ম্যাচ দেখলো। স্মরণীয় এক মনে রাখার মতো ঐতিহাসিক ম্যাচ দেখলো। জাদুকরী ফুটবলার মেসির জয় দেখলো।
যারা খেলেছিলেন আজকের ম্যাচে আর্জেন্টিনার একাদশ এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (গোলরক্ষক), নাহুয়েল মলিনা, নিকোলাস ওটামেন্ডি, ক্রিশ্চিয়ানো রোমেরো, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, ডি পল, ডি মারিয়া, লিওনেল মেসি, হুলিয়ান আলভারেজ।
ফ্রান্সের একাদশ হুগো লরিস, জুলেন কুন্দে, রাফায়েল ভারানে, ডায়ত উপামেকানো, থিও হার্নান্দেজ, অঁরেলিন চুয়ামেনি, আন্দ্রে র্যাবিওট, অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান, উসমান ডেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপ্পে, অলিভার জিরুদ।