বর্ষা মৌসুমে ফুড পয়জনিং থেকে বাঁচবেন যেভাবে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বর্ষাকালে পেট খারাপের সমস্যা লেগেই থাকে। এই সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। জীবাণু থেকে অনেক রকম জলবাহিত রোগ হয়। বর্ষা মৌসুমে কাঁদা আর বাতাসে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত ছড়ায়। অসাবধানে আপনার হাত-পা নোংরা হয়। আবহাওয়াও অনেক সময় ভ্যাপসা থাকে। এই সময় তাই অনেক খাবার থেকেই ফুড পয়জনিং, ডায়রিয়া যেমন হতে পারে, তেমনই ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড হলেও পেট খারাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া কিছু খাবার স্বাস্থ্যকর হলেও বর্ষায় ক্ষতিকর হতে পারে।
এই মৌসুমে বাইরের খোলা অপুষ্টি কিংবা ভাজাপোড়া খাবারের কারণ অনেক সময় ফুট পয়জনিং হয়েছে থাকে। যার ফলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে ছোট বড় সকল বয়সের মানুষের। কারণ ক্ষতিকর জীবাণুযুক্ত অপুষ্টি কিংবা ব্যাকটেরিয়া পেটে প্রবেশ করলেই পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্ষাকালে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে, কেন, জানুন।
বৃষ্টি : বৃষ্টির কারণে বাতাস আর্দ্র থাকে। যার কারণে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস খুব সহজেই জন্মাতে থাকে । যা খাবারে মিশে গিয়ে খাবারে দ্রুত বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। তাই এই সময়ে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
পানি : অনেক সময় পানির কারণে খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আর এই সময়ে পানি দূষিত হতে থাকে। সেই দূষিত পানি খাবারের সংস্পর্শে এলে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
শাক, ফল পচে : বৃষ্টির সময় শাকসবজি ও ফল প্রায় সময় দ্রুত পচে যায়। তাই রান্না করার সময় ভালোভাবে দেখে রান্না করতে হবে বা যদি আপনি শাকসবজি বা ফল কিনে এনে রাখেন তাহলে কিন্তু সেগুলো ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
রাস্তার ধারের খাবার: বর্ষাকালে রাস্তার ধারে যে খাবারগুলো বিক্রি হয়, তাতে কিন্তু দ্রুত বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন- মাছি, ধুলোর সংস্পর্শে থাকাকালীন এই খাবারগুলো সহজে নষ্ট হতে থাকে ও খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাই আগেই সাবধান হোন আপনি।
মশা, পোকামাকড়ের সৃষ্টি: অনেক জায়গায় বৃষ্টির জল জমে মশা, পোকামাকড়ের সৃষ্টি হয়। তাই এগুলো যদি খাবারে বসে তাহলে খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যা খেয়ে শরীরে নানান সমস্যা হতে পারে।
কীভাবে ফুড পয়জনিংয়ের ঝুঁকি কমাবেন
১. প্রত্যেকদিন টাটকা খাবার ও ঘরে তৈরি খাবার খাবেন। বাসি বা বাইরের খাওয়া খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
২. রান্না করার সময় ভালোভাবে রান্না করুন। রান্না কিন্তু কখনোই আঁচ সেদ্ধ করে রাখবেন না। কারণ এতে যদি খাবারে কোনো বিষক্রিয়া থাকে তা কিন্তু মরে যাবে।
৩. সব সময় ফোটানো পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন বা পানি ফিল্টার করে খান। দেখবেন জলে যেন কোনো ব্যাকটেরিয়া না থাকে। কারণ পানি থেকেই কিন্তু শরীর বেশি খারাপ হয়।
৪. যদি আপনি ফ্রিজে খাবার রাখেন, অবশ্যই ঢেকে রাখবেন। দেখবেন যাতে কখনো পচে না যায় খাবার। যদি অল্প পচনশীল হতে থাকে তাহলে কিন্তু সেই খাবার খাবেন না।
৫. খাবার খাওয়ার আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন। যাতে হাতে কোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া না থাকে। সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। না হলে কিন্তু ফুড পয়জনিংয়ের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।