ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ পিএম

ইউক্রেনের অনেক এলাকায় টানা আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। ছবি : সংগৃহীত
বড়দিনের আনন্দ ম্লান করে দিয়ে সকালে রাশিয়া ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামো ও পূর্বাঞ্চলের শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী এবং স্থানীয় কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের।
রবিবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে রাশিয়ার কাজান শহরে ড্রোন হামলা চালায় কিয়েভ। এর জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আরো ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ। এছাড়া, বেসামরিক আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ডিনিপ্রো অঞ্চলেও রুশ সেনারা ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। আঞ্চলিক গভর্নর সের্হি লিসাক জানিয়েছেন, সেখানে রাশিয়া জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংসের চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো জানান, রাশিয়া ধারাবাহিকভাবে জ্বালানি অবকাঠামোতে আঘাত হানছে। ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
দেশটির বৃহত্তম বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ডিটিইকে জানিয়েছে, তাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। চলতি বছরে এটি জ্বালানি খাতে ১৩তম এবং ডিটিইকের অবকাঠামোয় ১০ম বড় হামলা।
আরো পড়ুন : রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা দেবেন বাইডেন
রাশিয়ার হামলায় ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। এর ফলে দেশজুড়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। এই হামলার পর ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী বিমান সতর্কতা জারি করে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাহিনী দেশটির পূর্ব, মধ্য, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা বার্তা দেয়।
গত ১৭ নভেম্বর রাশিয়া ইউক্রেনে ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯০টি ড্রোন ছোড়ে। ওই হামলায় সাতজন নিহত হন এবং বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে ইউক্রেনের অনেক এলাকায় টানা আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।
ইউক্রেনের জনগণ এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধের প্রভাবে বড়দিনের আনন্দ হারিয়েছে। তার ওপর এই হামলা তাদের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে তুলেছে।