পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে আহ্বান ইউক্রেনের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৮ এএম

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : রয়টার্স
আগামী সপ্তাহে মঙ্গোলিয়ায় সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটিতে সফরের আগে পুতিনকে গ্রেপ্তার করার জন্য মঙ্গোলিয়ার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানালো ইউক্রেন। খবর বিবিসির।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর প্রথমবারের মতো আইসিসিভুক্ত কোনো দেশে সফর করতে যাচ্ছেন পুতিন।
পুতিন যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর সেখান থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আইসিসির এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, মঙ্গোলিয়ার কর্মকর্তারা সদস্য দেশ হিসেবে আইসিসির বিধান মেনে চলতে দায়বদ্ধ। তবে তার মানে এই নয় যে, পুতিনকে গ্রেপ্তার করতেই হবে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, তারা এই সফর নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয়। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার মঙ্গোলিয়ায় সফরে যাবেন পুতিন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মঙ্গোলিয়ার অংশীদারদের সঙ্গে রাশিয়ার চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। দেশটিতে রুশ প্রেসিডেন্টের সফরের সমস্ত দিক সাবধানে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : সাংবাদিকসহ ৯২ মার্কিন নাগরিকের ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা
শুক্রবার আইসিসির মুখপাত্র ডক্টর ফাদি আল-আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, মঙ্গোলিয়াসহ রাষ্ট্রপক্ষের রোম সংবিধির নবম অধ্যায় অনুসারে সহযোগিতা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে চুক্তিটি আদালত গঠন করেছিল। চুক্তিতে বলা হয়েছে, কিছু পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রকে গ্রেপ্তার করার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে, যেখানে তারা অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করতে বাধ্য হবে বা এটি কোনো ব্যক্তি বা তৃতীয় ব্যক্তির সম্পত্তির কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা লঙ্ঘন করবে।
তিনি বলেন, অসহযোগিতার ক্ষেত্রে, আইসিসির বিচারকরা সেই প্রভাবের জন্য একটি অনুসন্ধান করতে পারেন এবং রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাসেম্বলিকে তা জানাতে পারেন। তারপরে এটি অ্যাসেম্বলির পক্ষে উপযুক্ত বলে মনে করা হলে যে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক অভিযান চালায় রাশিয়া। দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ২০২৩ সালের মার্চে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। তবে সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই আইসিসির।