শবে বরাতে সারাদেশে ইবাদতে মশগুল ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র শবে বরাতের রাতে দেশের প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে পাপ মোচনের প্রার্থনায় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন।
ইসলাম ধর্মে শবে বরাতকে মুক্তির রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, স্টার জামে মসজিদ, লক্ষ্মীবাজার শাহী মসজিদ, ইস্কাটন মসজিদ, সেগুনবাগিচা মসজিদ এবং বেইলি রোড এলাকার বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে দেখা গেছে, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকিরে মশগুল মুসল্লিরা।
মসজিদগুলোতে মাগরিবের নামাজের পর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে। বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিশেষ আয়োজনের অংশ হিসেবে কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত, ওয়াজ মাহফিল এবং বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এক মুসল্লি জানান, আমরা অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং ভবিষ্যতের কল্যাণ কামনা করছি।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্টার জামে মসজিদে ছিল ভিন্ন আয়োজন। এখানে ২৬তম বার্ষিক সালাতুজ তাজবী নামাজ অনুষ্ঠিত হয়, যাতে প্রায় ছয় হাজার মুসল্লি অংশ নেন। নামাজ শেষে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিরিয়ানির ব্যবস্থা করা হয়। মসজিদের আঙিনা ও আশপাশের এলাকা মুসল্লিদের ভিড়ে ছিল সরগরম।
শবে বরাত উপলক্ষে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদে ছিল ব্যাপক ভিড়। জামে মসজিদে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। মসজিদ প্রাঙ্গণ বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছিল। সিলেট শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদেও ছিল একই দৃশ্য। পবিত্র রাতের বরকত পেতে হাজারো মুসল্লি এখানে সমবেত হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদসহ শহরের বিভিন্ন মসজিদে আয়োজন করা হয় দোয়া ও ইবাদতের।
ইসলাম ধর্মে শবে বরাতকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ রাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং তাদেরকে মাফ করে দেন। মুসলমানরা এ রাতে অতীতের পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে সৎকর্মে নিজেকে নিয়োজিত করার অঙ্গীকার করেন। শবে বরাত আমাদের শিক্ষা দেয়, সবসময় আল্লাহর কাছে ফিরে আসতে হবে, পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে হবে এবং সৎকর্মে মনোনিবেশ করতে হবে।