ভারী বৃষ্টিতে পাবনা শহরে জলাবদ্ধতা

পলাশ হোসেন,পাবনা
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম

ভারী বৃষ্টিতে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ডুবে গেছে
পাবনায় ভারী বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ডুবে মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে জনসাধারণ। টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে শহরের শিবরামপুর মহল্লার কালাচাঁদপাড়া, শালগাড়ীয়া, আটুয়া চামড়ার আড়ত মোড়, বেলতলা রোড, গোপালপুর, দিলালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর, দোহারপাড়া, শালগাড়িয়া, কুঠিপাড়া, রাধানগর, যুগীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন ও রাস্তা উপচে মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক এলাকায় ড্রেনের নির্মাণ কাজ চলায় সেগুলোর মুখ বন্ধ রয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হাসান রঞ্জন জানান, ২৪ ঘন্টায় সকাল ৬টা পযন্ত ৬৫.০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামীকাল (মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়া ভালো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে ওমানগামী উড়োজাহাজের ভারতে জরুরি অবতরণ
জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির বিষয়ে শহরের আটুয়া এলাকার আবুল কালাম বলেন, ড্রেন নির্মাণে ঠিকাদারদের ধীরগতির কাজ আর গাফিলতির কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ড্রেন দিয়ে পানি বের হবার বদলে ড্রেন থেকেই পানি ঘরে ঢুকে পড়ছে। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান। এদিকে ঘরের মধ্যে বৃষ্টির পানি ঢুকেছে। পানি সেচে রাত কাটিয়েছি বলে জানান পাবনার শিবরামপুর মহল্লার কালাচাঁদপাড়ার বাসিন্দা মুক্তি স্যানাল।
পাবনা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার এস.এম মাসুদ জানান পাবনা শহরের বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য পাবনা পৌর সভার অন্যতম পানি নিষ্কাশনের স্থান দোহারপাড়া ও আরিফপুর সংলগ্ন বুড়িদাহ ব্রিজের নিচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের খাল সরু হয়ে যাওয়ায় পানি দ্রুত গতিতে বের হতে পারছে না। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য অতি শীঘ্রই এই খাল দখল মুক্ত করে প্রসার করতে হবে।
পাবনা পৌরসভার প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফ আহমেদ জানান, গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় পানি আটকে যাওয়ায় জনগণ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে পৌরবাসীকে সচেতন হতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এমন কোনো কিছু ড্রেনে না ফেলতে অনুরোধ জানান তিনি।