ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে পর্তুগালের বিভিন্ন অঞ্চল

হাফিজ আল আসাদ লিসবন থেকে
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে পর্তুগালের পশ্চিম উপকূলের শহর আভেইরো। ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এই দাবানল। ইতোমধ্যে হাজার হাজার হেক্টর জুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানলের জেরে শহরটির বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছেন দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা ও ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের কর্মীরা। বন্ধ করে দিয়েছে শহরটির সব স্কুল কলেজ।
গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে আভেইরো ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে অন্তত ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর পরিমাণ জমির গাছাপালা ও ফসল। শুরু থেকেই প্রায় ১৫০০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং ৬টি পানিবাহী বিমান দাবানল নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।
পর্তুগালের জরুরি অবস্থা ও বেসামরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ‘দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ এবং জোর বাতাস আগুন নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সোমবার রাত পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহত রয়েছে বেশ কয়েকজন।
আরো পড়ুন: দুবাইতে গাউছিয়া কমিটির মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন
সোমবার সূর্যাস্তের আগেই দাবানলের ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে উঠেছিল আভেইরো আকাশ। শহরটির মেয়র কর্তৃপক্ষ বলেন, আভেইরো পরিস্থিতি এখন খুবই ‘কঠিন, জটিল এবং সংকটপূর্ণ’ আগুন ছড়িয়ে পরেছে এখন আবাসিক এলাকায়।
তিনি আরো জানান, দাবানলে ইতোমধ্যে ভস্মীভূত হয়েছে আভেইরো ‘বেলহা’ অঞ্চল, যেটি মূলত শহরের পর্যটন এলাকা। এছাড়া আগুন গ্রাস করেছে আভেইরোপৌর অঞ্চলের অন্তর্গত মোট ২০টি গ্রামকে। উপদ্রুত এলাকাগুলোতে সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি খুবই খারাপ হওয়াতে সাহায্য চাওয়া হয়েছে পাশের স্পেন ও ফ্রান্স থেকে।
ইউরোপের পর্যটনের মৌসুম মূলত শুরু হয় বসন্তের শেষে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে। কিন্তু চলতি বছর গ্রীষ্মের শেষে থেকে একের পর এক দীর্ঘ তাপপ্রবাহে পুড়ছে পর্তুগালসহ দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
ফলে একদিকে পর্তুগালে চলতি বছর পর্যটকদের আগমন ঘটেছে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম, অন্যদিকে যেসব পর্যটক দেশটিতে গিয়েছেন-তাদের অনেকেই গরমজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।