লন্ডন
হাউস অব কমন্সের সামনে হাজারো কণ্ঠে গাওয়া হলো জাতীয় সংগীত

আজিজুল আম্বিয়া, লন্ডন থেকে
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি : ভোরের কাগজ
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে লন্ডনে হাউস অব কমন্সের সামনে গত সোমবার এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে শত শত নারী-পুরুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। পরে সেখানে হাজারো কণ্ঠে গাওয়া হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের নেপথ্যে থেকে দেশদ্রোহীগোষ্ঠী তাদের আন্তর্জাতিক মোড়লদের সহযোগিতায় উন্নয়নশীল বাংলাদেশকে আজ ধ্বংসের তলানিতে নিয়ে গেছে। আমরা সব সময়ই বলে এসেছি এটা কোটা আন্দোলন নয়, ক্ষমতা দখলের দুরভিসন্ধি। অর্থনৈতিকভাবে দেশ আজ প্রায় দেউলিয়া। দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচাতে এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব দেশপ্রেমিক মানুষকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে।’
বক্তারা আরো বলেন, একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে ভর করে সংবিধান ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চায়। যারা এমনটি চাইছে তারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল।
আমরা ব্রিটিশ সরকারসহ বিশ্ববাসীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এই সমাবেশ থেকে আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্বকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির প্রকৃত অবস্থা অবহিত করছি। পরে সমাবেশস্থলে হাজারো কণ্ঠে গাওয়া হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জালাল উদ্দিন, হরমুজ আলী, নইমুদ্দিন রিয়াজ, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, রবিন পাল, আ স ম মিসবাহ, সৈয়দ ছুরুক আলী, আনসারুল হক, মেহের নিগার চৌধুরী, আনজুমান আরা আঞ্জু প্রমুখ।
এছাড়া পূর্বলন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে হাজারো বাঙালি নারী-পুরুষ সমবেত কণ্ঠে গাইলেন জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। সম্প্রীতির কনসার্ট শিরোনামে নারী সমাজের আয়োজনে বিকাল সাড়ে ৫টায় ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো বাঙালি সমবেত হন আলতাব আলী পার্কে। ব্রিটেনের স্বনামখ্যাত কণ্ঠশিল্পী হিমাংসু গোস্বামী, গৌরি চৌধুরী, উর্মি মাজহার, শাহ রুমি হক, শাহনাজ সুমি, পুষ্পিতা গুপ্তা, অজয়ন্তা দেব রায় ও শর্শিলী চৌধুরীর নেতৃত্বে হাজারো মানুষের সমবেত কণ্ঠে ব্রিটেনের মাটিতে গাওয়া হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। এ সময় আলতাব আলী পার্ক পরিণত হয় এক মিনি বাংলাদেশে। জাতীয় সংগীত গাওয়া শেষে সবাই জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও সংবিধান রক্ষার শপথ নেন।