ছাত্ররা রাজনৈতিক দল করলে সরকার থেকে বেরিয়ে আসা উচিত: মির্জা ফখরুল

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ পিএম

ছাত্ররা রাজনৈতিক দল। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করলে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বেরিয়ে এসে সেটা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবিসি বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করতেই পারে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সেক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাবো। কিন্তু একটা কথা অলরেডি উঠে আসছে মিডিয়াতে। কিংস পার্টি বলে একটা কথা উঠছে। আমি মনে করি, এখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। অর্থাৎ সরকারের কোনো সাহায্য না নিয়ে তারা যদি দল গঠন করতে চায়, সেটা তাদের জন্যই ভালো হবে।
তিনি বলেন, ছাত্ররা নিজেরাই দল গঠন করতে পারে। অন্যান্য দলগুলো যেভাবে করেছে। সরকারে যারা আছেন, তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়া উচিত। সরকারের কোনো সুবিধাই ওদের নেওয়া উচিত না।
বিএনপি নেতা বলেন, দল ছাত্ররা গঠন করছে, তাদের প্রতিনিধিরা সরকারে আছে। দ্যাটস এনাফ। হেলিকপ্টারে করে গিয়ে আপনার শীতবস্ত্র দিচ্ছে বিভিন্ন এলাকাতে। আপনার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওপরে, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওপরে নানা রকম প্রভাব তো তারা বিস্তার করছেই।
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসার আগেও হতে পারে বলে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন মির্জা ফখরুল।
দুই পর্বের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির, যার প্রথম পর্বটি আগেই প্রকাশিত হয়েছে।
মির্জা ফখরুলের দেয়া বক্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা এক এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা নাহিদ। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বের হয়েই করবেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ'র মতে, ফ্যাসিবাদবিরোধী ও জুলাই স্পিরিট ধারণকারী ছাত্র-জনতার সম্মিলনে যখন নতুন একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান হওয়ার আভাস পেলো, ঠিক তখন বিএনপি সেটিকে চিহ্নিত করলো তাদের দলীয় স্বার্থের বিপক্ষে হুমকি হিসেবে।
তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারেন, সে বিষয়েও ধারণা দিয়েছেন মির্জা ফখরুলে। এছাড়া আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার ভূমিকা কী হতে পারে, সে বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে ভারত বিষয়ে বিএনপির অবস্থান, আগামী নির্বাচন নিয়ে দলের প্রস্তুতি, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা চাঁদাবাজি-দখলদারিত্বের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের নতুন দল গঠন, আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ আরও বেশকিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব।