আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র নেই, আমার মাকে দিয়ে প্রমাণ পেয়েছি: সোহেল তাজ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র সোহেল তাজ বলেছেন, আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র নেই এটার প্রমাণ পেয়েছি আমার মাকে দিয়ে। আমার মা, তিনি সারা জীবন নীতি-আদর্শ নিয়ে কাজ করেছেন এবং আমি দেখেছি আমার মা যখন কথা বলতেন দলীয় প্ল্যাটফর্মে, তিনি কীভাবে নিগৃহীত হয়েছেন। সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোহেল তাজ আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ভেতরে কয়েকটা ব্লক ছিল। সিনিয়র নেতা যারা ছিলেন, দেখা গেল যাদের ভয়েস ছিল, সেই ভয়েসগুলো আস্তে আস্তে ক্ষীণ হয়ে গেল। সেই ভয়েসগুলো আস্তে আস্তে নীরব হয়ে গেল। একচ্ছত্র একটা ক্ষমতার বেজ তৈরি করা হলো। দেখা গেল এই ক্ষমতা কুক্ষিগত করা হলো একটি পরিবারের মাধ্যমে। ওই পরিবারের সদস্যরাই আওয়ামী লীগের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করল। আজকে যে পরিস্থিতি হয়েছে, এটার জন্য আমি দায়ী করছি পরিবারতন্ত্র কায়েম করা। যারা সুবিধাভোগী, তেলবাজ, দলবাজ, যাদের আমরা বলি হাইব্রিড, এরা দলটিকে সম্পূর্ণভাবে দখল করে নিয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র শেষ হয়ে গেছে ৯০ দশকে। ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে দলটিকে আমার মা (জোহরা তাজউদ্দীন) পুনজ্জীবিত করেছিলেন। আপনি আমাকে বলেন, গত ২০ বছরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক প্রসেসটা কি কাজ করেছে? আওয়ামী লীগের যেসব ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, তারা তো বাসায় শোকেসের সাজানো জিনিস।
সোহেল তাজ বলেন, আমি গত সাড়ে ১৫ বছর বিশেষ করে গত ১২-১৩ বছরে যে ঘটনাগুলো দেখেছি, দেশে যাতায়াত করেছি এবং গত পাঁচ ছয় সাত বছর দেশেই আছি। আমার কাছে হুবহু মিলে যাচ্ছিল সেই ‘১৯৮৪’এর সঙ্গে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে মনে হয়েছে ‘১৯৮৪’ বইয়ের সেই চিন্তক পুলিশের মতো। জর্জ অরওয়েল যদি বেঁচে থাকতেন, তিনি ভাবতেন ওয়াও আমাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এভাবে চিন্তা করেন যে গণতন্ত্র যদি একটা ফুটন্ত ডেকচি হয় ওই ডেকচির ভেতরে মানুষ আমরা ফুটেছি পানির ভেতর। গত ১৫ বছর যেটা হয়েছিল এই যে অনিয়ম, দুর্নীতি, মৌলিক অধিকার হরণ হত্যা, গুম, নির্যাতন, লাগামহীন দুর্নীতি অর্থ পাচার। এই অবস্থায় আপনি জ্বালটা বাড়িয়ে দিয়েছেন আবার ঢাকনাটা চেপে রেখেছেন। ৫ আগস্ট এই ডেকচিতে অনিবার্য বিস্ফোরণ ঘটেছে।