রিজভী
শেখ হাসিনা নতুন আঙ্গিকে বাকশাল করেছিলেন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন। ছবি: ভোরের কাগজ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার তার কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে আইন, বিচার, প্রশাসন সবকিছুকে একাকার করেছিলেন। শেখ হাসিনা নতুন আঙ্গিকে বাকশাল করেছিলেন। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একদিকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে, অন্যদিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে হবে- এই দুটিকে সামনে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সীমান্তে হত্যা হচ্ছে প্রতিদিন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এতটাই নতজানু ছিল, সীমান্ত রক্তাক্ত হলেও একটা প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। নিজের দেশের গণতন্ত্রের জন্য যারা কথা বলেছে তাদের জায়গা হয়েছে আয়নাঘরে অথবা বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে কারাগারে।
আরো পড়ুন: মৎস্যজীবী দলের বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত
স্বৈরাচারের শাসনকালে বিচারকরা অনেকেই রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেছেন মন্তব্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের কথা শুনে বোঝা যেতো না তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক। আমরা তার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখতে পাইনি।
রিজভী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত করতে হলে আইনের শাসন রুল অব ল এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে গণতন্ত্র। মানুষের শেষ আশ্রয় হচ্ছে বিচার বিভাগ।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জহুরুল হক, কর্নেল তৌহিদ পাঠান, কর্নেল আব্দুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুল রহমান প্রমুখ।