তারেক রহমান নির্দেশে আমরা একটা গণতান্ত্রিক দেশ গড়বো: আমিনুল হক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের অবৈধ মন্ত্রী-এমপিরা যারা জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সরাসরি হত্যার নির্দেশদাতা, যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেয়া হয়েছে সেই হত্যাকারীদের দ্রুত জামিন দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে পল্লবী-রুপনগরে আয়োজিত পল্লবী থানা ছাত্রদল ও রুপনগর থানা যুবদলের উদ্যোগে দুইটি পৃথক স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের ওপরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ও তাদের দোসররা যারা জুলুম অত্যাচার নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে, বিরোধী মত দমনে মামলা হামলা ও নির্যাতন করেছে, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে যারা বার বার ক্ষমতার চেয়ারে বসেছে, যাদের নির্দেশনায় জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মী ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেই শহীদদের রক্ত এখনো শুকায়নি অথচ সেই হত্যাকারীদের দ্রুত জামিন দেয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারী কায়দায় রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো হযবরল করে ক্ষমতায় বসে ছিল, সেই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারা (আওয়ামী সরকার) এই রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোর কোমর ভেঙে দিয়েছে। এই আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের দোসররা তারা এখনও রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে। দেশের স্বার্থে
রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলোর সঠিক সংস্কারের প্রয়োজন। এর জন্য সবার সহযোগিতায় আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সব যন্ত্রগুলো ঢেলে সাজাতে হবে। নইলে এর সুফল পাওয়া যাবে না।
আরো পড়ুন: গুজব ছড়িয়ে দেশে বিশৃল্খলা সৃষ্টির পায়তারা চলছে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন আমরা একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়বো উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, বিএনপি জনগণের দল, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি রাজনীতি করে এবং জাতির সব ক্লান্তি লগ্নে বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সামনে সুন্দর পরিবেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং সেই সরকার জনগণের কথা মতো চলবে।
আমরা অস্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই উল্লেখ করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, সামনে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উৎসব। জাতীয়তাবাদী দলের সব নেতাকর্মী ভাইয়েরা আপনারা সবাই হিন্দু ভাইদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে। আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে হিন্দু ভাইদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। তারা নিজেরাই হিন্দুদের বাড়ীতে আগুন দিয়ে বিএনপির নামে চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি এই ধরনের অপকর্মে কখনও জড়িত ছিল না। এইজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, রুপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লাইলী বেগম,পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ আলী গাজী, পল্লবী থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হাজী আবু তৈয়ব, রুপনগর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইন্জিঃ মজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, অলিউল হাসানাত তুহীন, খায়রুল আলম নয়ন, যুবদল পল্লবী থানা সভাপতি হাজী নূর সালাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. তপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এনামুল হক, যুবদল রুপনগর থানা সভাপতি সোয়েব খান, সাধারণ সম্পাদক হাদিউল ইসলাম রাজীব, সিনিয়র সহসভাপতি মো. নাঈম, পল্লবী থানা ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সিজার খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম নীরব, রুপনগর থানা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান রনি, মহিলাদল পল্লবী থানা সভাপতি লাকী রহমান সাধারন সম্পাদক সৈয়দা দিলারা পলি,৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক খোকন মাদবর, সিনিয়র সহসভাপতি ইমরান মুন্সিসহ প্রমুখ।