সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা চাই: জি এম কাদের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে ভালো নির্বাচন হলেও দেশ ভালো সরকার পায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের পর আমরা কখনো সঠিক রাজনীতি পাইনি। আমাদের সংবিধান এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা দিয়েছে। একই ব্যক্তি নির্বাহী বিভাগ, সংসদ ও প্রায় শতভাগ বিচার বিভাগের প্রধান। সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান একই ব্যক্তির হাতে। তাই এ সংবিধানের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে যাকেই ক্ষমতায় বসাবেন, তিনিই ক্ষমতার জোরে দানব হতে বাধ্য। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন নয়, সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা চাই।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তিনি কথা বলেন।
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দলীয়করণের মাধ্যমে সব প্রতিষ্ঠান কুক্ষিগত করেছিল উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, লর্ড এটনের একটি বিখ্যাত উক্তি অমর হয়ে আছে। তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতা মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্থ করতে পারে। কিন্তু অসীম ক্ষমতা নিশ্চিতভাবেই মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্থ করে। ক্ষমতা বাড়াতে সংবিধানকে বারবার পরিবর্তন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: তরুণদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে দেশ: জি এম কাদের
তিনি বলেন, আমরা কখনো প্রশাসন ও বিচারবিভাগ দলীয়করণ মুক্ত পাইনি। এক দলীয়করণ থেকে আরেক দলীয়করণ চাই না। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সংবিধানের এক তৃতীয়াংশ কখনোই বাতিল করা যাবে না, এটা কোনো যৌক্তিক কথা নয়। সংবিধান সংশোধন করে গণভোট দেয়ার বিধান থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার তা করেনি। সংবিধান সংশোধন করে গণমুখি এবং জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন চাই। তবেই, আমরা বুঝতে পারবো, নির্বাচন বিষয়ে কতটা সংস্কার হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা। যারাই ক্ষমতায় আসুক তারা যেন দানব হতে না পারে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। ব্যক্তিগতভাবেও আমরা তাদের বিশ্বাস করি।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি এইচ এম শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে এবং জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, আতিকুর রহমান আতিক, শেরীফা কাদের প্রমুখ।