সরকারের কাছে প্রত্যাশা-প্রাপ্তির লাগাম টেনে ধরতে হবে: ডা. জাহিদ হোসেন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন ডা. জাহিদ হোসেন
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মধ্যে একটু লাগাম টেনে ধরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম’৭১ এর ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। ১৮ বছর যাবত জগদ্দল পাথরের মতো যারা বুকে চেপে বসেছিল, অন্যায়, দুঃশাসন, নির্যাতনে নিষ্পেষিত এদেশের মানুষ এবং এই সমাজ আজকে বিভাজিত। এই সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে এই সমাজকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের নেতৃত্বে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু মনে রাখতে হবে— প্রত্যাশা অনেক থাকলেও এই সরকার শুধু প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে জনগণের সরকারের কাছে দায়িত্ব দেবে।’
কাজেই আমাদের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মধ্যে একটু লাগাম টেনে ধরতে হবে। কোনও অবস্থাতেই এমন কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা সঠিক হবে না, কারণ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তাদের (আওয়ামী লীগ) লোক বহাল তবিয়তে বসে আছে। কিছু লোক সরেছে মাত্র। এদেরকে ক্লিন করতে হবে, সময়ও দিতে হবে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসরা শুধু বাংলাদেশে না এই পৃথিবীতে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় এবং যার প্রতি মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস রয়েছে। কাজেই এই বিশ্বাস করাকে খারাপভাবে দেখার কোনো কারণ নেই। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব তার যে কার্যনির্বাহী কমিটি আছে, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বিচক্ষণতার সঙ্গে এই প্রশাসন নির্দলীয়করণ হবে, অর্থাৎ বৈষম্যবিরোধী নয় বৈষম্যের শিকার মানুষগুলোকে তাদের অধিকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গুমের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছে, অর্থাৎ শুরু করেছেন শেখ হাসিনা। বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিলো। অর্থাৎ এরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। শত শত সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হলো। অনেক টিভিসহ পত্রিকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রত্যেকটা সংবাদপত্র এবং মিডিয়া হাউজকে তারা ভয়ভীতির সংস্কৃতির মধ্যে নিয়ে সেলফ সেন্সরশিপ এবং প্রেসার সেন্সরশিপ চালু করে দখল করে নিয়েছিল।’