টানা চতুর্থবার শপথ নিলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম

টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করে এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে শপথ নেয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।
শপথ গ্রহণের একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, চতুর্থবারের মতো এমপি হিসেবে শপথ নেয়া সত্যিই সম্মানের। আমার কাছে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। আপনাদের সেবায় আমি আমার সেরাটা করব। আবারো আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় আসা লেবার পার্টির সরকারের মন্ত্রিসভায়ও জায়গা পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন এই সরকারে ‘সিটি মিনিস্টার’ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
দেশটিতের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টিকে বিশাল ব্যবধানে হারায় টিউলিপ সিদ্দিকের দল লেবার পার্টি। নির্বাচনে উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হন টিউলিপ সিদ্দিক।
আরো পড়ুন: অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে অতিথি থাকছেন যারা
গত শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক নির্বাচনে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হন টিউলিপ সিদ্দিক। এছাড়াও তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, গ্রেটার লন্ডন অথরিটি এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০১৫ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে টিউলিপ রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১০ সাল থেকে চার বছর ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্য ছিলেন। টিউলিপ সিদ্দিক ২০২০ সালে দেশটির শিশুবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে ২০১৫ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও তিনি একই আসনে পুনর্নির্বাচিত হন। ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের ‘দ্য প্রোগ্রেস ১০০০’ তালিকায় তিনি লন্ডনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের মধ্যে স্থান পেয়েছেন।