সমবায় প্রতিমন্ত্রী
উদ্ভাবনী চর্চা গড়ে তোলা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য আবশ্যক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০:২৫ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেছেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পল্লী এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্বসহ বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে। তবে এর জন্য দরকার আমাদের সবার উন্নত মানসিকতা ও উদ্ভাবনী চর্চা করা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমবায়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সব গ্রাম থেকে উদ্ভাবনী চর্চা শুরু হোক। এতে করে দেশের কৃষির চেহারাই বদলে যাবে। কৃষিতে আধুনিকায়ন উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য।
তিনি আরো বলেন, পল্লী উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়েছিলেন। আর সেই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৫ মে) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ আয়োজিত সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিং এবং শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সময়। তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে তাদের জ্ঞান ও মেধা নিয়ে। উচ্চপদস্থ থেকে নিম্নপদস্থ ভেদাভেদের উর্ধ্বে নিজের দেশ, দেশের উন্নয়ন। মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিদেশ থেকে পল্লির জন্য বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এটাই আধুনিক সমবায়ের ভিত রচনা করবে। এভাবেই দেশের চেহারা বদলে যাবে।
আরো পড়ুন: এভিয়েশন শিল্পের প্রবৃদ্ধিতে কাজ করছে সরকার: বিমান মন্ত্রী
এরপর মন্ত্রী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা (বিআরডিবি, আরডিএ বগুড়া, বার্ড কুমিবাপার্ড পিডিবিএফ, এসএফডিএফ, উদ্ভাবন প্রযুক্তির শোকেসিং পরিদর্শন করে বলেন, এত অসাধারণ প্রযুক্তির উদ্ভাবন মূলত গবেষণার ফল। গবেষণা মানব উন্নয়ন সাধন করে। তিনি দেশের সব স্তরের শিক্ষানুরাগীকে গবেষণায় মনোযোগী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এরপর আবদুল ওয়াদুদ বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন এবং সব অংশগ্রহণকারীকে প্রশংসায় ভূষিত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এলজিআরডি সচিব মোসাম্মাৎ শাহানারা খাতুন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।