দোহারে বিএনপির ৬৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৩২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ঢাকার দোহার থানা বিএনপির সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজসহ ৬৫ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় ৫ আসামির এক দিনের রিমান্ড ও ৬ জনকে একদিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দোহার থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) হাচান আলী শেখ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে দোহার থানা পুলিশ।
এ সময় আসামীপক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, ঢাকা সম্মেলনের আগে এটা একটি গায়েবী মামলা। আমরা মামলার নথি পর্যন্ত দেখতে পারিনি। আসামিরা অনেকে বৃদ্ধ। তাদের রিমান্ড বাতিলের অনুরোধ জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের জোর দাবি জানানো হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালত ৫ আসামি তথা- পান্নু মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, মাহবুব শিকদার, ছামাদ ব্যাপারী ও মাহবুবুর রহমান পান্নুকে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে বাকি ৬ আসামি তথা- গোলাম কিবরিয়া ব্যাপারী, হারুন মিয়া, রমজান খান, আরিফ হোসেন, লাবলু দেওয়ান ও শিশির মাহমুদকে এক দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদে নিতে আদেশ দেন আদালত। আদালত দোহার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শওকত হোসেন এ তথ্য জানান।
এদিকে, মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এবং আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দলীয় সম্মেলনের জন্য দোহারের নবাবগঞ্জ সড়কের করমআলী মোড়ে থানা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এক সমাবেশ হয়।
সমাবেশ শেষে আসামিরা রাস্তায় ককটেল বোমা মেরে, লাঠিসোটা, ইটের টুকরা ও ট্যায়ারে আগুন ধরিয়ে এলাকায় ভীতি ছড়ায়। এছাড়া রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ওই সময় জনৈক আরমান খাঁ নামে একজনকে অটো থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় আসামিরা। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় অটোতে। এছাড়া রাস্তায় চলাচলকারী কয়েকটি ইজিবাইক ভাঙচুর করা হয়।
ওই সময় খবর পেয়ে পুরিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার উপর থেকে ১ বিস্ফোরিত ককটেলের ৩ টি কৌটা, বাঁশ, লাঠি, ইজিবাইকের ভাঙা গ্লাস ও আগুনে পোড়া টায়ার দেখতে পান। ওই ঘটনার দিনই পুলিশ বাদী হয়ে দোহার থানায় মামলা করে। গ্রেপ্তার করা হয় ১১ জনকে।