এক রাতেই বাসাটি হয়ে গেল হাসপাতাল!

nakib
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২০, ০৮:২৪ পিএম

গার্গ পরিবারের ১৭ সদস্য
মুকুল গার্গ তার ৫৭ বছর বয়স্ক চাচার জ্বর হওয়াতে তেমন বেশি চিন্তিত হননি। তবে ২৪ এপ্রিল মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে তার ১৭ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের আরও ২ সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যায়। তাদের কিছুটা কাশিও দেখা দিল। তখনও গার্গ এটাকে সাধারণ অসুস্থতা ভেবে তাদের হাসপাতালে নিতে অনিহা প্রকাশ করেন।
এ বাড়িতে এমনিতেই কয়েকজন অসুস্থ্য থাকেন বলে ধারণা করছিলেন তিনি। তার পরের কয়েকদিনের ব্যবধানে পরিবারের আরও ৫ সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হলে গার্গ কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তার অল্প সময়ের ব্যবধানে পরিবারের ১৭ জনের ১১ জনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য গার্গ এক ব্লগে লিখেছিলেন তারা কেই বাহিরের কারো সাথে দেখা করেনি তবুও করোনা তাদের বাসায় আসে এবং একরে পর এক সদস্যকে আক্রান্ত করে।
বিভিন্ন প্রজন্মের একটি পরিবার কীভাবে করোনায় কাবু হয়ে যায় তা ওঠে আসে ঘটনা থেকে। দেশটিতে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছিল। তবে ভারতের প্রায় ৪০% পরিবারে একই ছাদের নিচে ৪ জনের বেশি মানুষ একসাথে থাকে। মুকুল গার্গের পরিবারে অনেক একসাথে থাকতে হয়। বাথরুম ও শোয়ার রুম শিয়ার করে থাকতে হয়। গার্ঘের চাচার মাধ্যমে সবাই আক্রান্ত হলেও তাদের মাঝে ভয় ও সামজিক চাপে পরীক্ষা করতে অনিহা ছিল।

পরিবারের সবাই আক্রান্ত হওয়ার পর গার্গ ভাবতে থাকে তাদের যদি কিছু হয় তাহলে কী কেউ এগিয়ে আসবে তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে। সমাজে নানাভাবে অবজ্ঞা করা হচ্ছে আক্রান্তদের। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে যখন চাচার শ্বাসকষ্ট শুরু হলো তখন সবার নমুনা পরীক্ষা করানোর চিন্ত করলেন গার্গ। পুরো মে মাসজুড়ে করোনা যুদ্ধে কেটে গেল। পরিবারের ৬ জন ডায়াবেটিকস, হার্ট সমস্যাসহ কিছু জটিলতা ছিল। তাদের নিয়ে সবার চিন্তা ছিল।
এভাবে রাতের ব্যবধানে পুরো বাড়িটি হাসপাতালে পরিণত হলো এবং সবাই নার্সের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো। গার্গ জানান আমরা সবাই আমাদের সবচেয়ে খারাপ মুহুর্তগুলো দেখলাম তবে সাহসিকতার সাথে আমরা তা থেকে বেরিয়ে এসেছি।