পুঠিয়ায় আ.লীগের পাল্টাপাল্টি প্রস্তুতি সভা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৩৫ পিএম

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পুঠিয়া উপজেলা আ.লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির পাল্টাপাল্টি প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনিয়ে দু'পক্ষই উভয় পক্ষকে দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সভাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সভার আয়োজন করেন সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা'র অনুসারীরা। দারা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি তবে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে দুরে থাকায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়ে দলীয় কার্যক্রম চলে আসছিলো। গত ২২ নভেম্বর বিকেলে পুঠিয়া পি এন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নির্বাহী কমিটির সভার আয়োজন করেন বর্তমান এমপি মনসুর রহমানের অনুসারীরা।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আ.লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি/সম্পাদককে বাদ দিয়ে উপজেলা আ.লীগের ব্যানারে প্রস্তুতিমুলক সভা করা হয়। সভায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুঠিয়া দুর্গাপুর আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা.মনসুর রহমান।
নজরুল ইসলাম জানান, সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে উপজেলা নির্বাচন সর্বশেষ দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এমনকি প্রায় একবছর ধরে দলীয় কোন কর্মসুচিতে উপস্থিত থাকতেননা বর্তমান এমপি মনসুর রহমানের নির্দেশে উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়ন আ.লীগ নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সভা করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূল আ.লীগের প্রস্তাবনার মাধ্যমে সভাপতি/সম্পাদককে বাদ দিয়ে উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, জেলা আ.লীগের নির্দেশক্রমে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হিসেবে আমরা প্রস্তুতিমুলক সভা করেছি। আগের সভার ব্যপারে তিনি বলেন, দলের মধ্যে বিভেদ ও বিভাজন সৃষ্টি করতে বর্তমান এমপি গঠণতন্ত্র অমান্য করে এ কাজটি করেছে। তারা অপরাধ করেছে এব্যপারে জেলার কাছে অভিযোগও করা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন দলীয় কার্যক্রমে অংশ না নেয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
ওসি রেজাউল ইসলাম বলেন, উপজেলা আ.লীগের একাংশের সভাকে কেন্দ্র করে এর প্রতিবাদে অপর আরেকটি অংশের মানববন্ধন করার আশঙ্কা ছিলো। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।