মা আইভির জন্য অঝোরে কাঁদলেন পাপন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২১, ০৯:১৬ পিএম

বনানী কবরস্থানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: সংগৃহীত

মায়ের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন নাজমুল হাসান পাপন
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মা আইভি রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর অঝোরে কাঁদলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন। সাংবাদিকদের সঙ্গে মাকে নিয়ে কথা বলার সময় তিনি ভীষণ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
পাপন বলেন, ‘আমার কাছে আম্মা ছিল বিশেষ কিছু। আমি আজকে কী, এটাতো আম্মা দেখে গেলো না। সেতো কিছুই জানে না! সবচেয়ে খারাপ লাগে আমি এত মানুষের চিকিৎসা করি, যেহেতু ৩৫ বছর ধরে ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে জড়িত, তারপরও আমি আম্মার কোনও চিকিৎসা করাতে পারলাম না। একটা ওষুধ নেই, ডাক্তার নেই। কোনও প্রাইভেট ক্লিনিকে কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যাবো সেটারও উপায় নেই। এমন জঘন্য কাজ কোনও মানুষের পক্ষে কীভাবে সম্ভব, ভেবে পাই না।’
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর বনানীতে
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক বেগম আইভি রহমান আজকের দিনে মারা যান।
[caption id="attachment_304075" align="aligncenter" width="720"]
পাপন সাংবাদিকের বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন দেখি টেলিভিশনে সেই ঘাতকদের পক্ষ নিয়ে অনেকেই সাফাই গায়। মিথ্যাচার করে। তখন আমার কাছে কেমন লাগে বলেন? যারা এভাবে মানুষকে হত্যা করতে চায়, আল্লাহ তাদের বিচার করবেন। আমি শুধু এটাই চাই, যারা এভাবে মিথ্যাচার করছে আল্লাহ তাদের বিচার করবেন।’
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যেভাবে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, সেভাবে গ্রেনেড হামলাকারীদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর অনেকে ভেবেছিল এর বিচার হবে না। হয়েছে তো। সময় লাগলেও হয়েছে। আসলে এ ধরনের অপরাধ যারা করেছে, তাদের বিচার অবশ্যই হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। বিচার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আশা করি, দ্রুততম সময়ে আমরা রায় জানতে পারবো।’
আইভি রহমানের ছেলে পাপন আরও বলেন, ‘শুধু আমার আম্মা নয়, শতশত মানুষ পড়ে কাতরাচ্ছে, কোনও চিকিৎসা দেবে না। মেরে ফেলতেই হবে, এই যে মনোভাব এইটা কোনোদিন চিন্তাই করা যায়। একদিন তাদের বিচার হবেই হবে।’