গোল্ডেন মনিরসহ চারজনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২১, ০৪:২৮ পিএম

গোল্ডেন মনির। ফাইল ছবি
গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরসহ চারজনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ জুন) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, গোল্ডেন মনিরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া অপর তিন আসামি হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, রিয়াজের ভাই হায়দার আলী ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।
জানা যায়, গত ১১ মে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরকে প্রধান আসামি করে তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার, ছেলে রাফি হোসেন, বোন নাসিমা আক্তার, নাসিমার স্বামী হাসান আলী খান, মনিরের আরেক ভগ্নীপতি নাহিদ হোসেন, গোল্ডেন মনিরের সহযোগী আবদুল হামিদ। এছাড়া গত বছরের ২২ নভেম্বর র্যাব বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ জানায়, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় গ্রেপ্তার গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। তাছাড়া ১০ দেশের মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে পৃথক আরেকটি মামলা করা হয়।
২০০১ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে মনির রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রাজউকের ডিআইটি প্রজেক্টে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক প্লট নিজের করে নেন তিনি। এভাবে রাজউক থেকে প্লট সংক্রান্ত সরকারি নথিপত্র চুরি করে এবং অবৈধভাবে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সিল ব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচল, বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক প্লট নিজের করে নেন। অভিযোগ আছে, তিনি নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের মালিক হয়েছেন। ভূমি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় রাজউক ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে রাজউকের ৭০টি নথি নিজ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখার অপরাধে একটি মামলা করে। এছাড়া অনৈতিকভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে।