রিকশার পাদানিতে গুলিবিদ্ধ নাফিসের ছবির স্কেচ স্থান পেলো জাতিসংঘের প্রতিবেদনের প্রচ্ছদে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফার্মগেট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিকশার পাদানিতে পড়ে থাকা গোলাম নাফিজের ছবিটি এক শোকাবহ দৃশ্য হিসেবে দেশের মানুষকে নাড়া দিয়েছিল। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ এই ছবি তুলে ওই রাতেই পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশ করেন।
এরপর থেকেই ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং নাফিজের মা-বাবা সেই ছবির মাধ্যমে সন্তানকে খুঁজে পান। তবে, মা-বাবা সন্তানকে খুঁজে পাওয়ার আগেই নাফিজ মারা যান। এবার, ওই ছবির স্কেচ (আঁকা ছবি) স্থান পেয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার–বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ওই সময়ের নৃশংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিগত সরকার ও শাসক দল আওয়ামী লীগকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।
গত ১২ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘পাদানিতে ঝুলতে থাকা গুলিবিদ্ধ নাফিজ তখনো রিকশার রড ধরে ছিল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলিবিদ্ধ গোলাম নাফিজকে পুলিশ যখন রিকশার পাদানিতে তুলে দেয়, তখনো সে রিকশার রডটি হাত দিয়ে ধরে রেখেছিল।
রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ তাকে নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেটের একটি হাসপাতালে ঢুকতে গেলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বাধা দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। পরে ১৭ বছরের গোলাম নাফিজকে নিয়ে রিকশাচালক খামারবাড়ির দিকে চলে যান।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বাধার পরও রিকশার পাদানিতে ঝুলতে থাকা নাফিজের কয়েকটি ছবি তুলতে পেরেছিলেন। ৪ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার পর পত্রিকাটির প্রথম পাতায় ছাপা নাফিজের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ছবি দেখেই নাফিজের মা-বাবা সন্তানের খোঁজ পান।