ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙা নিয়ে ভারতের বিবৃতি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪০ এএম

এস্কেভেটর, বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি। ছবি : সংগৃহীত
গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ছয় মাস পর বুধবার রাতভর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বাক্ষী বাড়িটি।
রাতভর হামলার পর বৃহস্পতিবার দিনেও এস্কেভেটর, বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হবার ছয় মাস পর ছাত্র সমাজের উদ্দেশে শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।
এবার ধানমন্ডি ৩২ ভাঙা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারত।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘দখলদারিত্ব ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, যারা বাঙালি পরিচয় নিয়ে গর্ব করেন এবং এই পরিচয় লালন করার পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামকে মূল্য দেন- তারা সকলেই বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার ক্ষেত্রে এই বাসভবনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত। আমরা এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানাই।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন : ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর, যা বলছেন উপদেষ্টা ও অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্টরা
চলতি সপ্তাহেই তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে সেই দায় ভারত সরকারকেই নিয়ে হবে। এর পরেও হাসিনা আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে ভাষণ দিয়েছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতে বসে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পবন বাধেকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, হাইকমিশনার এখন নেই, তাই ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছি। ভারত জানিয়েছে, শেখ হাসিনা বিদেশি প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ভারতের কোনো প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন না।