সরকারের ব্যর্থতার কারণেই মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে: সমন্বয়ক হান্নান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৭ পিএম

আব্দুল হান্নান মাসউদ। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে দেয়া হয়েছে৷ আগে থেকে ঘোষণা দেয়ার পরও বাড়িটি রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ না থাকায় হতবাক বিশ্লেষকরা৷
তবে বাড়িটি ভাঙার পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একটি বিবৃতি দিয়েছে সরকার৷ এতে বলা হয়, ‘‘ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্খিত৷ পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে৷’’
শুধু ৩২ নম্বরের বাড়ি নয়, ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার বাসভবনও হামলার শিকার হয়েছে, আগুন দেয়া হয়েছে৷ খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, রাজশাহী ও কুষ্টিয়াসহ আরো কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও শেখ পরিবারের সদস্যদের ভবন ও বাড়ি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়েছে৷ আগুন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা অব্যাহত আছে৷ তবে পুলিশ বা যৌথ বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে বুধবার রাত ৯টার পর আগুন দেয়া হয়৷ এরপর দুইটি বুলডোজার এনে রাতভর ভাঙা হয়৷ ভাঙার কাজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো৷ এই সময়ের মধ্যে শুধু রাতে একবার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে গেলেও কিছুক্ষণ পর তারা সরে যান৷ এছাড়া ঢাকা বা ঢাকার বাইরে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনার সময় যৌথ বাহিনী বা পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি৷
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘‘দেশে সরকার আছে৷ আর শেখ হাসিনা ভারতে বসে উসকানি দিচ্ছে৷ খুনিরা উসকানি দিচ্ছে৷ হাসিনাসহ তার দোসরদের ভারত থেকে ফেরত আনতে ভারতের বিরুদ্ধে সরকার কোনো শক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি৷ শেখ হাসিনা ভারতে বসে সাধারণ মানুষকে বার বার কষ্ট দিচ্ছে৷ সাধারণ ছাত্র-জনতা তাই ঘোষণা দিয়ে যে যতবার কষ্ট দেবে ততবার তার আবেগের জায়গায় আঘাত করবে৷’’
তিনি বলেন, ‘‘সারাদেশে পতিত স্বৈরাচারের টর্চার সেল আছে৷ এখনো আওয়ামী লীগের লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ সরকারের ব্যর্থতার কারণেই মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে৷ সরকার যদি দ্রুত তাদের বিচারের আওতায় আনতো তাহলে এমন হতো না৷ সরকারের উচিত দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা৷ আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িঘর যেগুলো টর্চার সেল হিসাবে ব্যবহার হয়েছে সেগুলো জাদুঘর বানানো যায়৷ আবার আহতদের সেখানে পুনর্বাসনও করা যায়৷ এটা করলে মানুষের ক্ষোভ কমবে৷’’