মুক্তিযোদ্ধাদের ডেটাবেজ তৈরিতে অনিয়ম: ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিযোদ্ধাদের ডেটাবেজ তৈরি এবং গণউদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক কর্মসূচিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক উপসচিব সৈয়দ মুজিবুল হকসহ তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন এবং চেয়ারম্যান মো. সেলিম প্রধান।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা বিল পরিশোধের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সৈয়দ মুজিবুল হক মুক্তিযোদ্ধাদের ডেটাবেজ তৈরি এবং গণউদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক কর্মসূচির পরিচালক এবং ৬৪টি জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ডেটাবেজ তৈরি এবং গণউদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেটগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাপানো, ডেটাবেজ তৈরি, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ক্রয় বাবদ বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি এবং কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স লিমিটেডকে ১ কোটি ৮৭ লাখ প্রাক্কলিত মূল্যের বিপরীতে ১ কোটি ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪০ টাকায় কার্যাদেশ দেয়া হয়।
আক্তার হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠির জবাবেও সার্টিফিকেট গ্রহণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অথচ তৎকালীন কর্মসূচি পরিচালক সৈয়দ মুজিবুল হক হার্ডওয়্যার যন্ত্রপাতিগুলো এবং ৯০ হাজার সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন বলে প্রত্যয়ন দিয়েছেন।
এর আংশিক সরবরাহ বিল বাবদ সাড়ে ৯৮ লাখ টাকার অর্থ মঞ্জুরি করেন। ওই টাকা থেকে ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা ভ্যাট/ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, সৈয়দ মুজিবুল হক মুক্তিযোদ্ধাদের ডেটাবেজ তৈরি এবং গণউদ্বুদ্ধকরণ শীর্ষক কর্মসূচির পরিচালক ছিলেন। তিনি ওই মালামালগুলো বাস্তবে গ্রহণ না করে মালামাল গ্রহণের প্রত্যয়ন প্রস্তুত করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সুবিধা গ্রহণের উদ্দেশে বিধিবহির্ভূভাবে ভ্যাট/ট্যাক্স কর্তনপূর্বক ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকার বিল মঞ্জুর করেন।
পরে সেই সরকারি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স লিমিটেডের এমডি জাহিদ হোসেন ও চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানকে এ মামলায় আসামি করা হয়।