লায়লাকে হত্যাচেষ্টা: টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিচিত মুখ লায়লা আখতার ফরহাদকে ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুল হক আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান।
আদালতে আসামি প্রিন্স মামুন উপস্থিত ছিলেন। তার পক্ষে আইনজীবী মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। অন্যদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দেয় এবং মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আগামী ১ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার ফরহাদ। সেখানে বলা হয়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের কথাও চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে মামুন বারিধারা ডিওএইচএসে লায়লার বাসায় থাকতে শুরু করেন।
আর্জিতে বলা হয়, তখন থেকে মামুন বিভিন্ন অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায়ই মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় আসতেন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন। এমনকি মাঝে মধ্যে লায়লাকে মারধর করতেন। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরেন তারা। এসময় মামুনসহ আরো দুজন মদপানের জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করেন। লায়লা তাকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে মামুন ‘গালি’ দেন লায়লাকে। অভিযোগে বলা হয়, গালি দিতে নিষেধ করলে লায়লাকে মারধর করে ‘হত্যার চেষ্টা’ করেন মামুন।
তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। পরে ওই বছরের ৩ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। সে সময় পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে ৪ জুন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান মামুন।