স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ঢাকা শহরকে যদি মানবদেহ কল্পনা করা হয়, তবে খালগুলো হচ্ছে তার শিরা-উপশিরা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খালগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য খালগুলোকে করতে হবে দূষণমুক্ত, খনন ও সংস্কার।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বাউনিয়া খাল প্রান্তে ‘ঢাকা শহরের খালগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করে খালকেন্দ্রিক ব্লু নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত ৬টি খাল বেগুনবাড়ি, কড়াইল, বাউনিয়া, রূপনগর, মান্ডা ও কালুনগর খালের সংস্কার কার্যক্রমের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। নগর সমস্যা সমাধানে- ‘ঢাকা নর্থ মডেল পরিকল্পনা’ হাতে নেয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে কেন্দ্র করে গড়া এই পরিকল্পনা নগর ব্যবস্থাপনার জন্য হবে রোল মডেল।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঢাকা শহরের অভ্যন্তরস্থ ও চারপাশের সব জলাধার যেমন- খাল ও জলাশয় ইত্যাদির কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে নগর জীবনের পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধনের উদ্যোগ ও রূপরেখা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, ব্লু নেটওয়ার্ক হচ্ছে এরূপ একটি রূপরেখা, যেখানে ঢাকার ১৯টি খালকে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হবে। ব্লু নেটওয়ার্কের উদ্যোগ যাতে চলমান থাকে এবং এজন্য খাল সংস্কার কার্যক্রমে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ কামনা করেন তিনি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং খাল সংস্কারের প্রাথমিক টার্গেট হিসেবে খালগুলোতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।

এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ড্রেনেজ সিস্টেম ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নাগরিকদের বিশেষ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান। খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজাম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তরের প্রধানগণসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।