ব্যাংকে থাকা এসকে সুর পরিবারের ‘লকার’ জব্দের আদেশ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীর পরিবারের লকার জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার বাসা থেকে উদ্ধারকৃত ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ট্রেজারিতে জমা রাখা এবং ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, এসকে সুর চৌধুরী ও তার পরিবারের লকার জব্দ, তার ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ট্রেজারিতে রাখা এবং তার দুটি মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আবেদন করে দুদক। আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হোসাইন আদালতে আবেদনটি করেন।
গেল ১৪ জানুয়ারি দুদকের একটি দল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এ ডেপুটি গভর্নরকে গ্রেপ্তার করে দুদক। এদিনই আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার নগদ টাকা, সাড়ে চার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতের নথি উদ্ধার করে দুদক।
ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০২৪ সালে ২৩ ডিসেম্বর ‘আর্থিক অনিয়মের’ অভিযোগে আলোচিত এস কে সুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর আগে সে বছর ২৮ অগাস্ট এস কে সুর, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেয় আদালত।
পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২২ সালে এস কে সুরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওই বছরের মার্চে তাকে দুদকে তলব করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের অগাস্টে এস কে সুর ও তার পরিবারের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয় দুদক। এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন।