×

জাতীয়

দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত বেবিচক তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম

দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত বেবিচক তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান

বেবিচক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

   

আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বনে গেছেন আ. লীগ বিরোধী। বিএনপিপন্থী মানুষ হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন জায়গায় উপস্থাপন করছেন তিনি। এই নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তার কর্মক্ষেত্র বেবিচকে।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১৫ বছরে বেবিচকের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন হাবিবুর রহমান। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেগুলো বর্তমানে দুদকের অনুসন্ধানাধীন।

জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর সিভিল এভিয়েশনে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান হাবিবুর রহমান। এরপর বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজ অনেক ক্ষেত্রেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।

এদিকে, অযোগ্যতা, দুর্নীতি ও খামখেয়ালির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাবিবুর রহমানকে দুদক থেকে বেবিচকের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দায়িত্ব না দিতে বলা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।

গ্রেপ্তার হওয়া বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মহিবুল হক এর দোসর হিসেবে পরিচিত হাবিবুর রহমান। সচিবের কাছের মানুষ হিসেবে গত পাঁচ বছর ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এবং তিন বছর পিএন্ডডিকিউএস তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী হিসাবে দাপটের সঙ্গে অর্থ লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় তাকে ফ্লাইট সেফটি থেকে পদোন্নতি দিয়ে চীফ ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব দেয়া হয়।

বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, বাজে আচরণের অভিযোগে তাকে বিভিন্ন সময় শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ২০০২ সালে চট্রগ্রাম এয়ার পোর্টে চিফ সিকিউরিটি অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুর রহমান। মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সদর দপ্তরে বদলি করেন তৎকালীন বিমান মন্ত্রী মীর নাসির। এরপর ২০০৫ সালে কক্সবাজার এয়ার পোর্টে এয়ার এপ্রোন প্রজেক্টের ঠিকাদারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে ওএসডি হন। শাস্তি হিসেবে নো ওয়ার্ক নো টেবিল করে রাখা হয় তাকে।

আরো পড়ুন : ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

২০০৯ সালে সিডিআএ ফায়াদ করিমের বিল আটকে দেয়ায় উইথড্র করে হেডকোয়াটারে পাঠানো হয় তাকে। ২০১১ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় গুরুতর অনিয়মের অভিযোগে তাকে হেডকোয়াটারে বদলি করা হয়।

জনগুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর এলাকায় বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এসব কাজ একেবারে স্থবির। চীফ ইঞ্জিনিয়ারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৫ দিন আগে থার্ড টার্মিনালের পিডি এ কে এম মাকসুদুল ইসলামের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ বাতিল চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু সে চিঠির বিষয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর অজ্ঞাত কারণে বেবিচকের উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবীর ভূঁইয়া। কাওলা এলাকার একটি মসজিদ নিমার্ণের কার্যাদেশ থাকার পরও নির্মাণকাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে ওই এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করছেন তারা। আবার বিষয়টিকে বেবিচকে আওয়ামী লীগের ভুত বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবীর ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে অবশ্যই নিউজ করবেন। তবে জানা মতে তিনি ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করে দেখবো।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App