বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে সরকারিভাবে গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত মঙ্গলবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনা হয় এবং তার বসবাসের জন্য ধানমন্ডির ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয় এবং একই বছর তিনি একুশে পদকেও ভূষিত হন। পরবর্তীকালে, তার জীবনাবসানের পর তাকে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর, অবিভক্ত ভারতের কলকাতার এলবার্ট হলে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, দীনেশ চন্দ্র দাশসহ বরণ্যে ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কাজী নজরুল ইসলামকে সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে 'জাতীয় কাণ্ডারী' এবং 'জাতীয় কবি' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তার জন্মবার্ষিকীতে প্রদত্ত বাণীতে বারবার তাকে জাতীয় কবি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
তবে, এতদিন পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কবি নজরুলের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত সত্য হলেও, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গেজেট আকারে এই ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়।
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কবি কাজী নজরুল ইসলামকে তার ঢাকায় আগমনের তারিখ ৪ মে ১৯৭২ হতে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হলো এবং এই সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো।
এ ঘোষণার মাধ্যমে জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ আরো সুদৃঢ় হলো।