ঢাবি প্রশাসন
শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছা ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম

টিএসসি এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষককেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলাকে প্রক্টরিয়াল টিমের ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, আমরা অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ২৯ ডিসেম্বর (২৮ ডিসেম্বর দিবাগত) গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের দুটি পিলারে থাকা শেখ মুজিব এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। জুলাই আন্দোলনে এ দুটি গ্রাফিতি বিপ্লব, প্রতিরোধ এবং ফ্যাসিবাদ ধ্বংসের প্রতিনিধিত্ব করে।
এ স্মৃতিকে তাজা রাখা এবং প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। এটি প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা আরো সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করছি।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়া নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া যা বলছে
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে গত রাতেই শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এঁকেছেন। এ স্তম্ভটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এ ঘৃণাকে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্যে, শনিবার দিবাগত রাতে মুছে ফেলা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষককেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে থাকা শেখ হাসিনার গ্রাফিতি তথা ‘ঘৃণাস্তম্ভ’। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে রাজু ভাস্কর্যের পাশের ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ সামনে জড়ো হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদের অনুমতি নিয়ে এই কাজ করা হয়েছে- এ তথ্য জানার পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, এদিন রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ‘ঘৃণাস্তম্ভে’ থাকা গ্রাফিতিটি অর্ধেকটা মুছে ফেলা হয়েছিল। পরে ‘ঘৃণাস্তম্ভে’ হাসিনার আরেকটি গ্রাফিতি আঁকা হয়।