সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে করে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যিনি ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী, মানুষ খুন করেছেন; তাকে আমি ‘নারী’ বলতে রাজি নই। ‘নারী’ হতে গেলে যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার, সেসব তার মধ্যে ছিল না।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ’২৪ গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নারী, গণক্ষমতায়ন সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার অব ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (সিআইবি) এবং উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এনহেন্সমেন্ট নেটওয়ার্কের (উইন) উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, ১৯৯১ সালে এরশাদকে হটিয়ে আমরা নারী প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ছিলাম। দুঃখজনক হলো, গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদীর নিয়ন্ত্রণে ছিলাম। তাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নই আমি। যিনি ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী, মানুষ খুন করেছে তাকে ‘নারী’ বলতে অসম্মতি জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, আমরা কেবল নারীর অধিকার চাই না। আবার শুধু পুরুষের অধিকারও চাই না। মানুষ হিসেবে সবার অধিকার চাই। নারীরা মন খুলে কান্না করতে পারে। কিন্তু পুরুষরা তা করতে পারে না। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে।

সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। আমরা চাই, তারা সমাজ ও রাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখুক। নারী-পুরুষের সমান অধিকার থাকতে হবে। আমরা নারীর ক্ষমতায়ন চাই। ন্যায়-নীতির ওপরে থেকে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। সমাজে নারীদের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। রাষ্ট্রের কাজগুলোতে তাদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।

সিআইবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মেজবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক সচিব ম আ কাশেম মাসুদ, রাজনৈতিক গবেষক প্রকৌশলী লোকমান লিমন, নারী উচ্চারণ ও খেদমত ইকমার্স প্রেসিডেন্ট সামিয়া রহমান, যুব সংগঠক পিংকি কণিকা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর কামরুল ইসলাম জুয়েল, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, স্বদেশী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আল আমিন রাজু, এশিয়ান সাইন্টিস্ট ও মডেল লাইভ স্টক অ্যাডভান্সমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. সালমা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।