সাবেক সেনা কর্মকর্তা আযমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল, পাবেন সব সুবিধা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম

সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী
দীর্ঘ ৮ বছর গুম থাকার পর গত ৭ আগস্ট বাড়ি ফিরেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। ২৯১৭ দিন কীভাবে কেটেছে আয়না ঘরে তার কিছু বর্ণনা পরিবারের কাছে দিয়েছিলেন সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা। শেষ পর্যন্ত পেলেন সুখবর।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আযমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়।।
আইএসপিআর জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে তার বরখাস্তের আদেশ প্রমার্জনা করে বরখাস্তের পরিবর্তে ২০০৯ সালের ২৪ জুন থেকে ভূতাপেক্ষভাবে ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০৯ সালের ২৪ জুন থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে প্রযোজ্য সব ধরনের আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইতোপূর্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ সালের ২৩ জুন জারি করা তার বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: আপনার যুক্তি ফ্যাসিজমের পক্ষে যাচ্ছে: খালেদ মুহিউদ্দীনকে আলী রীয়াজ
২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে তুলে নেয়া হয়। সে সময় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বড় মগবাজারের বাসা থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করা হয়।
পরে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আটকের বিষয়টি একাধিকবার দাবি করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।
গত ৭ আগস্ট মুক্তির পর আয়না ঘরে ২৯১৭ দিন কীভাবে কেটেছে তার- কিছু বর্ণনা পরিবারের কাছে দিয়েছেন সাবেক এ সেনাকর্মকর্তা। তার ব্যাগে থাকা একটি গামছা বের করে বলেন, এ গামছাটি আমি নিয়েছিলাম নামাজ পড়ার জন্য; কিন্তু এটা দিয়ে যে পরিমাণ চোখের পানি আমি মুছেছি তা দিয়ে একটি দিঘি বানানো যেত।
তার ব্যাগে থাকা পবিত্র কুরআন খুলে দেখিয়ে তিনি বলেন, ৮ বছর এ কুরআন পড়েছি। এটা অনেক ছিড়ে গেছে। এটাই অনেক জোড়া-তালি নিজেই দিয়েছি। এ সময় কুরআনের অনুবাদের কিছু ভুল রয়েছে জানিয়ে বলেন, এটা ক্ষমার অযোগ্য। কুরআনের অনেক আয়াতের অনুবাদে ভুল অনুবাদ করা হয়েছে। এ সময় তিনি ভুলগুলো নোট করে রাখেন বলে জানান পরিবারের সদস্যদের।