×

জাতীয়

আইনজীবী হত্যা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে কমিটির পদত্যাগ

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২১ পিএম

আইনজীবী হত্যা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে কমিটির পদত্যাগ

ছবি: সংগৃহীত

   

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা ও আদালতপাড়ায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের তাণ্ডবের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি গঠিত তদন্ত কমিটি। এ জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সবাই তদন্তকাজ না করে কিছু সুপারিশ দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তদন্ত টিমের প্রধান ও সাবেক মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার সমিতি বরাবর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে মতামত দিয়েছেন। তিনি জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ ঘটনা তদন্ত করার সুপারিশ করেছেন। তারা মনে করছেন, ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক ছিল না। তাই পুলিশি তদন্তে ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিরা আইনের আওতায় নাও আসতে পারে। এ কারণে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত। 

এদিকে সাইফুল হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪০ জন। এর মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সমিতি সূত্রে জানা যায়, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার পর ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা আইনজীবী সমিতি আইনজীবী আবদুস সাত্তারকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অ্যাডভোকেট কাশেম কামাল, অ্যাডভোকেট জাফর ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান অনু প্রমুখ।

তদন্ত টিমের সদস্যরা জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যা এবং আদালত এলাকায় তাণ্ডব, গাড়ি ভাঙচুরসহ এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতটি মামলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে কোনো জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে বা রিজেক্ট হলে তার নকল কপি নিতে ৪-৫ দিন পর্যন্ত দরকার হয়। কিন্তু ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন রিজেক্ট (নামঞ্জুর) হওয়ার পর এক ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফাইড কপি বা নকল পেয়ে গেলেন। ওই দিন আবার সঙ্গে সঙ্গে মিস কেস দাখিল করে শুনানির জন্য তারিখ পেয়ে গেলেন। আদালতে কোনো চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি আনলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতি হতে পারে এমন আসামি আনলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে চেকপোস্ট বসানো হয়। লালদীঘির পাড়, জহুর মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া আসামিকে খুব সকালে আদালতে আনা হয়। কিন্তু চিন্ময় দাসের ক্ষেত্রে এসব কিছুই করা হয়নি। তাকে আদালতে আনা হলো সকাল ১০টার পর। ওই দিন কোথাও চেকপোস্ট বসানো হয়নি। তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় জড়িতরা বিনা বাধায় আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। প্রশাসন অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। আসামি পুলিশের ভ্যানে থাকা অবস্থায় মাইক ব্যবহার করে কীভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিলো। এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। যা পুলিশ তদন্ত করছে।

তদন্ত টিমের প্রধান আইনজীবী আবদুস সাত্তার বলেন, ঘটনার দিন একাধিক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। সাধারণ কেউ তদন্ত করলে সেটি ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। তাছাড়া আমাদের কমিটিতে যারা আছেন, সবাই আইনজীবী। তাই আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকবে। এ কারণে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। একজন জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঘটনাগুলো তদন্ত করা হোক। আমরা সমিতির কাছে এ রকম সুপারিশ দিয়েছি এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছি। পাশাপাশি তদন্ত টিম থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। এ বিষয়ে রবিবার হয়তো সমিতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

টাইমলাইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App