অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে আলাল যা বললেন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সরকারের কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানিয়েছেন, আমাদের নামে যে অজস্র মিথ্যা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা রয়েছে, সেই মামলাগুলো তুলে নেয়ার জন্য আপনারা দাবাড়ুদের মতো দাবার গুটি সাজিয়েছেন। এটা হলে ওইটা হবে, আর ওইটা হলে এটা হবে। এটাতো ন্যায়বিচার নয়। ন্যায়বিচার হলো জাস্টিস। আমরা এ সরকারের কাছে জাস্টিস চাই, ন্যায়বিচার চাই।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদের উদ্যোগে সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক ছাত্রনেতা জাকির খানসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা জানান তিনি।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে যে অজস্র মামলা রয়েছে, সে মামলাগুলো এখনো কেন তুলে নেয়া হয়নি। যে মামলায় আমাদের সাজা দেয়া হয়েছে, সে মামলাগুলোর তথ্যপ্রমাণ কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান নিজেই। বেগম খালেদা জিয়া দুই কোটি টাকা এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে নিয়েছেন, এই অপরাধের কারণে যে জজ বেগম জিয়াকে ১২ বছরের সাজা দিয়েছেন, সেই জজকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রমোশন দিয়ে বিচারপতি বানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের স্বার্থে গোটা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করেছে। বিচারপতি খায়রুল হক এবং ওবায়দুল হাসানকে ব্যবহার করে মানুষের ন্যায্য অধিকার ও ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এটা এই সরকারের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) প্রধানরাও স্বীকার করছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়িছাড়া করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে দেশছাড়া করেছেন। পৃথিবীর কোথাও পাবেন না, কোনো রাজনৈতিক দল টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে একটা গণঅভ্যুত্থানের কারণে সবাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন-বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কামাল আহমেদ। এতে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশ চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ মল্লিক, এল কে রনি, দেলোয়ার হোসেন খোকন প্রমুখ।