এনআইডি সংশোধন: পৌনে ৪ লাখ আবেদন ৩ মাসে নিষ্পত্তি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য ‘ঝুলে থাকা’ প্রায় পৌনে চার লাখ আবেদন আগামী তিন মাসে নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি মাত্র এসেছি, দুই সপ্তাহ কাজ করেছি। যতটুকু জেনেছি, আমাদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে- আমরা আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে পারিনি। কমিশনের অনুমতি নিয়ে লোকবল কম নিয়ে হলেও ৫ থেকে ১০ দিনে বা এক মাসে হাজার হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারব না। আমি আশা করছি, খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন আমরা একটা ক্রাশ প্রোগ্রামের পরিকল্পনা করেছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটা উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখতে পাবেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে তিন লাখ ৭৮ হাজার আবেদনই নিষ্পত্তির চেষ্টা করব, যেন দুর্নীতি করার সুযোগটাই কমে আসে। বর্তমানে দেশে ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি ভোটারকে এনআইডি অনুবিভাগ নিয়মিত সেবা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে সংশোধন বিষয়ক অন্তত পৌনে চার লাখ আবেদন ঝুলে আছে নানা জটিলতায়।
আরো পড়ুন: বিজয় দিবসে ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা শেখ হাসিনার, যা জানা গেলো
এনআইডি সেবা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, দুদকের অভিযানের সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এটা এখন তদন্ত করে দেখতে হবে কারা কারা সম্পৃক্ত।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক কৌশলে একটি টিম পাঠায়। তারা ইসি সচিবালয়ের চারদিকে নজর রাখেন; তদন্ত করেন। এসব কাজ করতে গিয়ে তারা দুজনকে ধরতে পারেন, যারা ইসি অফিসের কেউ নন, দালাল প্রকৃতির। দুদক টিমের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ওই দুজন তাদের মোবাইল থেকে আরো দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই দুজনের মধ্যে একজনের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে, আরেকজন মোবাইল রেখেই পালিয়ে যান। ওই মোবাইল থেকে আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের ভেতরের কারা কারা জড়িত।
হুমায়ুন কবীর আরো বলেন, এনআইডি সেবায় ইসি সচিবালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের লোকজন সম্পৃক্ত থাকেন। আমাদের প্রকল্পের কেউ বা আমাদের ভেতরের কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকার সুযোগ রয়েছে। ওটাই এখন খুঁজে বের করছি।