বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসও দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে। কিছুদিন ধরেই বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে রাজধানী।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ২০৭। বায়ুর এই মানকে খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে সংবেদনশীল মানুষসহ শিশু ও বয়সরা।

তবে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো।

এদিন সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ২০৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫০৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো, ৪৫৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, ৩০৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সেনেগালের ডেকার শহর, ২৬৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা রাজধানী ঢাকার শহরের স্কোর ২০৭।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১-১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১-১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১-২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১-৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১-৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

আরো পড়ুন : মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়, বিপর্যস্ত জনজীবন