হেলাল হাফিজকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়ার ইঙ্গিত উপদেষ্টা ফারুকীর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
কবি হেলাল হাফিজ বেঁচে থাকা অবস্থায় একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার, কোনোটাই পাননি। অথচ কবি হিসেবে স্পর্শ করেছিলেন খ্যাতির চূড়া। তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ইঙ্গিত দিয়েছেন, কবিকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হতে পারে।
ফারুকী বলেন, কবি কখনো পদক-পুরস্কারের জন্য লেখেন না। তবু দুর্ভাগ্য, আমরা হেলাল হাফিজকে স্বাধীনতা পুরস্কার বা একুশে পদক দিতে পারিনি। উনি এটি পাওয়ার জন্য লেখেননি। কিন্তু জাতি হিসেবে তাকে সেই সম্মান দেয়ার দায়িত্বটা আমাদের ওপর বর্তায় । এটি নিয়ে কী করা যায়, আমরা দেখব।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে কবি হেলাল হাফিজের মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর পর গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।
তারুণ্য ও যৌবনের গান বললেই হেলাল হাফিজের কথা মনে পড়ে— এমন মন্তব্য করেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, মাত্র একটি কবিতার বই লিখে একটি জাতির শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাসে এত প্রভাব আর কোনো কবি রাখতে পেরেছেন কি না, আমার জানা নেই। উনি খুব বেশি লেখেননি। কিন্তু তারুণ্য ও যৌবনের গান বললেই হেলাল হাফিজের কথা মনে পড়ে। এটি উনার অর্জন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগত উনার শূন্যতা অনুভব করবে। উনার অবস্থান এক বইতেই চিরস্থায়ী করে রেখেছেন। তিনি তার কবিতাতেই বেঁচে থাকবেন।
ফারুকী আরো বলেন, কবি অকৃতদার ছিলেন। একাকী জীবন কাটিয়েছেন। এটি শিল্পীর বেছে নেয়া একটি জীবন। আমর মনে হয় না, উনার জীবন নিয়ে আক্ষেপ বা অভিযোগ ছিল। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
মন্ত্রণালয় থেকে কবির স্মরণে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না— জানতে চাইলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, শিল্পী শক্তিশালী হলে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় না, তাকে তার কবিতাই বাঁচিয়ে রাখবে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে কী কী করা যায়, আমরা করব। আপনারা খুব দ্রুতই শুনবেন।
এর আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কবির মরদেহ নেয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। সেখানে বাংলা একাডেমির পক্ষে মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম শ্রদ্ধা জানান কবির মরদেহে। সাহিত্য অঙ্গণের ব্যক্তিত্বরাও এ সময় কবিকে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় কবির পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।