শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কবি হেলাল হাফিজ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বাংলা একাডেমিতে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলায় ১১টায় একাডেমিতে প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা হবে। এরপর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে কবি হেলাল হাফিজকে।
এদিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সাহসী কণ্ঠের কবি হেলাল হাফিজ। সেজন্য সকাল থেকে শুরু হয়েছে তার কবর খোঁড়ার কাজ।
দেখা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের মূল ফটকে প্রবেশের পর বামপাশে বুদ্ধিজীবীদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানের জায়গার তার কবর খোঁড়ার কাজ চলছে। সেখানে কয়েকজন গোরখোদক খোঁড়ার কাজ পরিচালনা করছেন।
লিটন নামের এক গোরখোদক বলেন, কবি হেলাল হাফিজের জন্য এখানে কবর করা হচ্ছে। সকাল ৯টার পর থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত খননের কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। আশা করি সাড়ে ১২টার মধ্যেই কবর রেডি হয়ে যাবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সুপার হোম নামে শাহবাগের একটি হোস্টেলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কবি হেলাল হাফিজ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
কবি হেলাল হাফিজ শুধু একজন কবি নয় বরং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, প্রেম এবং সামাজিক বিপ্লবের প্রতীক। তার লেখা খুব অল্প হলেও প্রতিটি কবিতাই বাংলাদেশের সাহিত্য ভাণ্ডারের অমূল্য সম্পদ। তার লেখা ‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়’—এই লাইনটি বাংলাদেশে প্রজন্মের চেতনাকে আন্দোলিত করে। তিনি স্বল্প কথায় গভীর বক্তব্য দেওয়ার জন্য বাংলা সাহিত্যে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলেও মনে করছেন এই অঙ্গনের মানুষেরা।