বাংলাদেশের মানুষ ভারতকে আর সেই সুযোগ দেবে না: সমন্বয়ক সারজিস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের আমলে ভারত বাংলাদেশকে চুষে খেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ভারতকে আর সেই সুযোগ দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়ার মালতীনগর এলাকায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, গত ১৬ বছর ভারত আওয়ামী লীগকে নিরাপত্তা দিয়ে যেভাবে বাংলাদেশকে চুষে খেয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে আর সেই সুযোগ দেবে না। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে ক্ষমতায় থাকা ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জ্ঞান নেয়ার সময় বাংলাদেশের নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতসহ সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক হবে সম্প্রীতি এবং সমতার। আগ্রাসনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।
সারজিস আলম বলেন, যে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ রাজপথে নেমেছিলেন, গত চার মাসে সেই স্বপ্নপূরণে বেশি অগ্রসর হতে পারেনি সরকার নানা কারণেই। বিশেষ করে এখনো রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ সুবিধাভোগীদের অনেকেই থাকার কারণে পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারে এবং কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের সময় লাগছে কিছুটা।
বগুড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গত ১৬ বছর নামের কারণেই বৈষম্যের শিকার হয়েছে বগুড়া। বগুড়া নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে বগুড়ায় একটা প্রোগ্রাম করার কথা ভাবছি। ইয়াং জেনারেশনকে নিয়ে অনেক বড় একটি প্রোগ্রাম করা হবে। পুরো উত্তরের আমাদের হিসাব মতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের যে ১৬টি জেলা আছে তার মধ্যে অভ্যুত্থান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ত্যাগ স্বীকার করেছে বগুড়া। এই ১৬ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শহীদ ও আহত হয়েছে বগুড়ার মানুষ। সেইসঙ্গে সবচেয়ে রক্তাক্ত এবং রক্ত দিয়েছে এই বগুড়া জেলার মাটি। সেই জায়গা থেকে আমাদের আলাদা একটা দায়বদ্ধতা আছে।
সারজিস বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়া, সিস্টেমগুলো সংস্কার করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় এভাবে যাবো এবং আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের জায়গা থেকে কাজগুলো করবো।
আরো পড়ুন: কবে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, জানালো নয়াদিল্লি